সংক্ষিপ্ত
এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) সুপার ফোরের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারাল পাকিস্তান (Pakistan vs Afghanistan)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১২৯ রান করে মহম্মদ নবির দল। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জয় পায় বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানস্তানের হারে এশিয়া কাপ ২০২২ থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় হয়ে গেল ভারতীয় দলের। বুধবা সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারাল পাকিস্তান। এই ম্যাচে আফগানরা জিতলে অঙ্কের বিচারে প্রতিযোগিতার ফাইনালে যাওয়ার আশা থাকত টিম ইন্ডিয়ার। বাবর আজমদের হারানোর সুযোগও পেয়েছিল মহম্মদ নবির দল। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস লাস্ট ওভারে থ্রিলারে পরপর দুটি ছয় মেরে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক হয়ে ওঠেন নাসিম শাহ। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন ইব্রাহিম জার্ডান। রান তাড়া করতে নেমে শেষ উইকেটে শেষ ওভারের ৪ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন শাদাব খান।
এদিন টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুটা ভালো করলেও পরের দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ে আফগানদের উপর। মুহম্মদ হাসনাইন বাদে পাকিস্তানের অন্যান্য বোলাররা সকলেই আঁটোসাটো বোলিং করেন। শেষে পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থামে আপগানিস্তানের ইনিংস। ইব্রাহিম জার্ডানের ৩৫ রান ছাড়া ২১ রান করেন হাজারতুল্লাহ জাজাই। এছাড়া কেউ ২০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি। এই ম্যাচ পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন হ্য়ারিস রউফ। ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। শাদাব খান ৩৬ ও ইফতিকার আহমেদ ৩০ রানের ইনিংস না খেললে আরও চাপে পড়তে হত। শেষ ওভারে ম্যাচ জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। নাসিম শাহ পরপর ২টি ছয় মেরে ম্য়াচ ফিনিশ করেন। আফগানিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি ও ফারিদ আহমেদ। এছাড়া ২টি উইকেট নেন রাশিদ খান। ম্য়াচ একাধিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়। ঝামেলায় জড়া আসিফ আলি ও ফারিদ আহমেদ। ম্যাচ জিতিয়ে নাসিম শাহের সেলিব্রশনও ছিল উত্তেজনায় ভরা।
এই ম্যাচ পাকিস্তান জয়ের ফলে এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডের পরের দুটি ম্য়াচের আর কোনও মূল্য রইল না। কারণ পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ও ভারত ও আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ২টি করে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌছে গিয়েছে। অপরদিকে ভারত ও আফগানিস্তান ২টি করে ম্য়াচ হেরে প্রতিযোগিতা ছিটকে গিয়েছে। ফলে শেষ ২টি ম্যাচ কেবল নিয়ম রক্ষার হয়েই থেকে গেল।