সংক্ষিপ্ত
রঞ্জি ট্রফির ( Ranji Trophy 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে পাহার প্রমাণ স্কোর করল বাংলা (Bengal vs Jharkhand)। তৃতীয় দিনে ৭৭৩ রানে ৭ উইকেটে ডিক্লেয়ার করে অরুণ লালের দল। তৃতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৩৯ রানে ৫ উইকেট।
প্রথম ৯ ক্রিকেটারের অর্ধশতরান বা তার বেশি স্কোর। তার মধ্য়ে আবার দুটি সেঞ্চুরি। একটি অল্পের জন্য দ্বিশতরান ছাড়া। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় আড়াই দিন ধরে ব্যাট করে প্রতিপক্ষ ঝাড়খণ্ডের বোলিং লাইনআপ নিয়ে ছেলেখেলা করল বাংলা দল। ম্য়াচে প্রথম দিন থেকেই বড় রানের পথে এগোচ্ছিল বাংলা। কিন্তু তা যদি এমন পাহাড় প্রমাণ রানে গিয়ে পৌছাবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করা পর্যন্ত বাংলা দলের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৭৩ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি, ১১৭ রান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এছাড়া অন্যান্য ৭ ব্যাটসম্য়ান সকলেই অর্ধশতরান করেন। প্রথম ইনিংসে বল হাতে নেমেও শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি বাংলার ছেলেরা। দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৩৯ রানে ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৫৭৭ রানে ৫ উইকেট। ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মনোজ তিওয়ারি ও ৭ রানে নট আউট ছিলেন শাহবাজ আহমেদ। সেখান থেকে তৃতীয় দিনের শুরুতে ইনিংসে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন তারা। সকালটা সামলে নেন মনো ও শাহবাজ। বেশ কিছু অনবদ্য শটও খেলেন তারা। ৪৯ রানেক পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। দলের ৬১৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭৩ রান করে সুশান্ত মিশ্রার বলে আউট হন মনোজ তিওয়ারি। এরপর শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান সায়ন মণ্ডল। নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলেন দুই তরুণ। অর্ধশকরান পূরণও করেন সাহবাজ আহমেদ। সায়নের সঙ্গে করেন শতরানের পার্টনারশিপ। দলের ৭১৪ রানের মাথায় আউট শাহবাজ আহমেদ। ৭৮ রান করে শাহবাজ নাদিমের বলে আউট হন তিনি। এরপর সায়ন মণ্ডল ও আকাশদীপ মিলে ঝড়ের গতিতে ব্য়াটিং করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও ককরেনম দুজন। অবশেষে ৭ উইকেটে ৭৭৩ রানে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে বাংলা। ৮৫ বলে ৫৩ করে এপরাজিত থাককেন সায়ন মণ্ডল ও ১৮ বলে ৫৩ রাম করেন আকাশ দীপ। ৮টি ছয় মারেন তিনি।
এরপর প্রথম ইনিংসে পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল ঝাড়খণ্ডের দুই ওপেনার কুমার দেওব্রত ও নাজিম সিদ্দিকি। বিশেষ করে অনবদ্য ব্যাটিং করেন সিদ্দিকি। বেশ কিছু চোখ ধাধানো শট খেলেন তিনি। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও হয় ওপেনিং জুটিত। অবশেষে দলের ৭৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে। ১১ রান করে সায়ন মণ্ডলের বলে আউট হন কুমার দেওব্রত। এরপর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ঝাড়খণ্ড। যার ফলে চাপে বাড়ে। দলের ৭৯ রানের মাথায় ৫ রান করে আউট হন উৎকর্ষ সিং। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন নাজিম সিদ্দিকি। কবে দলের ৮৮ রানের মাথায়া ব্যক্তিগত ৫৩ রান করে সায়ন মণ্ডলের বলে আউট হন সিদ্দিকি। এরপর কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেন সৌরভ তিওয়ারি ও বিরাট সিং। দুজন মিলে ৪৬ রানের পার্টারশিপ করেন। ১৩৪ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। ৩৩ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হন সৌরভ তিওয়ারি। এরপর দলের ১৩৮ রানে ব্যক্তিগত ২ রান করে শাহবাজ আহমেদেরে বলে আউট হন কুমার কুশাগারা। দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৩৯ রানের উইকেট।
আরও পড়ুনঃভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টি২০ ম্যাচ, রাজধানীতে কে তুলবে জয়ধ্বজা
আরও পড়ুনঃআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ হল মিতালি 'রাজ', অবসর ঘোষণা ভারতীয় তারকার