সংক্ষিপ্ত
- ২ বছরের জন্য নির্বাসিত শাকিব আল হাসান
- ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেওয়া আইসিসিকে জানাননি
- তাই শাস্তি দেওয়া হল শাকিবকে
- আবার উঠে এল আইপিএলের নাম
খারাপ সময় কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাকিব আল হাসানের। সতীর্থদের নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রহে নেমেছিলেন শাকিব। সেই সমস্যা মিটতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি ভেঙে আবার বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা শাকিব। আর এবার ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত বিষয়েও নাম জড়িয়ে গেল বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডারের। আর তাই ২ বছরের জন্য নির্বাসিত শাকিব আল হাসান।
মঙ্গলবার এই নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। ২ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হল শাকিব আল হাসানকে। আইসিসি জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ের মধ্যে আয়োজিত হওয়া একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে বুকিদের প্রস্তাব পেয়েছিলেন শাকিব। এমনকি নাম উঠছে আসছে আইপিএলেরও। ২০১৮ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচে নাকি বুকিদের প্রস্তাব পেয়েছিলেন শাকিব। কোনও প্রস্তাবেই তিনি রাজি হননি। তবে সেই বিষয় গুলি চেপে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অল রাউন্ডার। নির্বাসনের শাস্তি পাওয়ার পর শাকিব বলছেন, তিনি হতাশ। তবে আইসিসির দেওয়া এই শাস্তি মাথা পেতে নিচ্ছেন। কারণ তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেননি।
২০১৯ বিশ্বকাপে দুরন্ত খেলেছিলেন শাকিব। মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ২০১১ সালের যুবরাজ সিংকে। ব্যাট হাতে যেমন রান করেছেন তেমনই বল হাতে তুলে নিয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। অনেকের মতেই বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন শাকিব। কিন্তু এবার আইসিসি’র তোপের মুখে শাকিব আল হাসান। কারণ ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও জানাননি আইসিসিকে।
আরও পড়ুন - প্রথম টি-২০ ম্যাচের আগে সমস্যা ভারত-বাংলাদেশের দলের অনুশীলন নিয়ে
বাংলাদেশের দৈনিকে প্রকাশিত হওয়া খবর অনুযায়ী আইসিসির কালো তালিকার ভুক্ত এক বুকি ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শাকিব আল হাসানকে। শাকিব সেই প্রস্তাব কে পাত্তা দেননি। নিজের দল, দেশ বা ক্রিকেটার সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেননি তিনি। কিন্তু এই প্রস্তাবের কথা কোথাও জানানি শাকিব আল হাসান। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটের, কোচ সাপোর্ট স্টাফ বা আম্পায়াররা যদি কোনও বুকির থেকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রতাব পান তাহলে সেটা আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখাকে জানানো বাধ্যতা মূলক। কিন্তু সেটা করেননি শাকিব। গোটা বিষয়ই চেপে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন - ভারতীয় ক্রিকেটের ২২ গজে আবার সৌরভ, রাহুল পার্টনারশিপ
আইসিসি’র দুর্নীতি দমন শাখা গোটা বছর ক্রিকেট দুর্নীতি নিয়ে কাজ করে। তারাই শাকিব ও সেই বুকির মধ্যেকার কথার টেপেও তারা পেয়ে গেছেন। শাকিব এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার মেনে নেন তাঁর সঙ্গে বুকির কথা হয়েছে। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি মানেনি। তবে শাকিব এটাও বলেছেন যে গোটা বিষয়টি চেপে গিয়ে তিনি ভুল করেছেন। কিন্তু আইসিসির কাছে এমন ভুলের কোনও ক্ষমা নেই।