সংক্ষিপ্ত
- ২০১০ সালে এশিয়া কাপে হরভজন-শোয়েব দ্বৈরথ
- ম্যাচ শেষে হরভজনকে মারতে হোটেলে গিয়েছিল শোয়েব
- না পেয়ে অবশেষে ফিরে আসেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস
- লকডাউনে সেই ঘটনা সকলকে জানালেম পাক তারকা
২২ গজে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ যে শুধু ব্যাটে বলের লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি সেই উদাহরণ আমরা বারবার পেয়ছে। কখনও স্লেজিংয়ের জবাব স্লেজিং দিয়ে কখনও আবার কথা কাটাকাটি, কখনও কখনও আবার মাঠে মধ্যেই ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়েছেন প্লেয়াররা। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে আমির সোহেল বনাম ভেঙ্কটেশ প্রসাদের লড়াই তো চিরস্মরণীয় হয়ে রয়ে গিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসে। এই সব কিছুই সীমাবদ্ধ ছিল মাঠের ভিতরে। কিন্তু কখনও শুনেছেন কী ভারতীয় ক্রিকেটারের উপর খোঁচে গিয়ে কোনও পাকিস্তান ক্রিকেটার টিম হোটেল পর্যন্ত গিয়েছিল। আর তার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারকে মারা। শুনে অবকা হলেন। কিন্তু সত্যি ঘটনা। এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা পেসার শোয়েব আখতার। আর যাকে মারার জন্য শোয়েব ভারতীয় দলের হোটেল পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি অন্য কেউ নন, ভারতীয় তারকা অফ স্পিনার হরভজন সিং। লকডাউনে সেই ঘটনা নিজেই জানালেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুনঃমুশফিকুরের ব্যাট কিনলেন আফ্রিদি, ঐতিহাসিক মুহুর্ত, দাবি বিশেষজ্ঞদের
২০১০ সালে এশিয়া কাপে ডাম্বুলায় ভারতকে ২৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। শেষের দিকে টান টান থ্রিলারে পরিণত হয় ম্যাচ। একটা সময় ভারতের দরকার ছিল ২৪ বলে ৩৬ রান। ব্যাট করছিলেন সুরেশ রায়না ও হরভজন সিং ৭ তম ওভারে বল করতে আসেন শোয়েব। ভাজ্জি দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দেন। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। কথার লড়াই এমন পর্যায়ে যায় যে আম্পায়ার ও পাকিস্তান প্লেয়ারদের গিয়ে তা থামাতে হয়। এরপরেও ম্যাচ চলাকালীন একাধিকবাক বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন শোয়েব ও হরভজন। ৪৯তম ওভারেও বল করতে আসেন শোয়েব আখতার। ছক্কা মেরে রায়না চাপ কমান। শেষ ওভারে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল সাত রান। কিন্তু রায়না রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরতেই চাপ বাড়ে ভারতীয় দলের উপর। এক সময় ২ বলে ৩ রান দরকার ছিল ভারতীয় দলের জেতার জন্য। মহম্মদ আমিরকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাকান ভাজ্জি। দলকে জিতিয়ে শোয়েবের দিকে তাকিয়ে ভাজ্জি মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়তে থাকেন। শোয়েবও তাঁকে সাজঘরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন। কিন্তু এই লড়াই মাঠেই শেষ হয়নি। হরভজনের উপর এতটাই ক্ষুব্ধ হন শোয়েব তাকে খুঁজতে হোটেলে যান। হরভজনকে নাা পেয়ে শেষে শান্ত হন পাক তারকা।
আরও পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সম্ভাবনা নাকোচ করে দিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
আরও পড়ুনঃজুলাইতেই মাঠে ফিরতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট দল,ইঙ্গিত বোর্ড কর্তার
বর্তমানে লকডাউনে সেই কথায় শেয়ার করতে গিয়ে শোয়েব আখতার জানান,'ম্যাচের শেষে হরভজনকে মারার জন্য আমি হোটেলে গিয়েছিলাম। লাহৌরে ও আমাদের সঙ্গে ঘুরেছে, এক সঙ্গে বসে খেয়েছে, ওকে আমাদের পঞ্জাবী ভাই বলেই মনে করি। আর হরভজন কি না আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করল! হরভজন জানত,শোয়েব আসছে। আমি ওকে খুঁজে পাইনি। তার পরে আমি নিজেই শান্ত হয়ে যাই। পরের দিন সকালে হরভজন এসে আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে।' পরে ওই ঘটনা ওখানেই শেষ হয়। দুজনের মধ্যে ঠিক হয় সম্পর্ক। বর্তমানে দুজন ভাল বন্ধুও।