সংক্ষিপ্ত
- বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে শেষ অ্যাসেজ টেস্ট
- নতুন রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে স্টিভ স্মিথ
- ৩০৪ রান করতে পারেলই ভাঙবেন স্যার ডনের রেকর্ড
- ১৮ বছর পর ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি অজিদের
বল বিকৃতি কান্ডের জন্য এক বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকতে হয়েছে তাঁকে। হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের পদটাও। বিশ্বকাপে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে। আর অ্যাসেজের মঞ্চে এসে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন স্টিভ স্মিথ। মাঠে নামার আগে থেকেই তিনি জানতেন ইংল্যান্ডের জনতা তাঁকে মাঠে কটুক্তি করতে ছাড়বে না। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। কিন্তু স্টিভ স্মিথ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব আওয়াজ স্তব্ধ করে দিয়েছেন নিজের ব্যাটের দাপটে। ক্রিকেট পন্ডিতদের মতে এবারের অ্যাসেজে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য একটাই। সেটা স্টিভ স্মিথের ব্যাটিং। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৭১ রানে করে ফেলেছন স্টিভ। সেটাও আবার দ্বিতীয় টেস্টে মাত্র একটা ইনিংস খেলে ও তৃতীয় টেস্টে চোটের জন্য বাইরে থেকে। এবার নতুন একটা মাইল ফলকের সামনে দাঁড়িয়ে স্টিভ। চাই আর ৩০৪ রান। ওভালে শেষ অ্যাসেজ টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩০৪ রান করতে পারলে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড ভেঙে দেবেন স্টিভ। ১৯৩০ সালের অ্যাসেজে মোট ৯৭৪ রান করেছিলেন স্যার ডন। যে রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেননি।
চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই অ্যাসেজের দখল রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। এখনও দল হিসেবে আরও একটা কৃতিত্বের সামনে দাঁড়িয়ে টিম পাইনের দল। ১৮ বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটি থেকে শেষ বার টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছিল। সেবার দলের নেতা ছিলেন স্টিভ ওয়া। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক এই দলটার মেন্টর। অধিনায়ক হিসেবে যে কাজটা করেছিলেন এবার মেন্টর হিসেবেও একই কাজ করতে চাইছেন ওয়া। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ী অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ রয়েছে টিম পাইনের সামনে। বছর দেড়েক আগে স্টিভ স্মিথ নির্বাসনে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পাইন। এবার অধিনায়ক হিসেবে একটা বড় স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সেই স্মিথের দিকেই তাকিয়ে টিম পাইন।
ঘরের মাঠে অ্যাসেজ জিততে পারেনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এবার সম্মান বাঁচানোর লড়াই জো রুটের দলের সামেন। লর্ডসে দাঁড়িয়ে রুটরা বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তুলেছিলেন, কিন্তু অ্যাসেজে বেন স্টোককে বাদ দিলে গোটা দলটাই কার্যত ব্যর্থ। কিন্তু শেষ টেস্টে নামার আগেও নিজের দলের ব্যাটিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না, নিজের দল নিয়ে না ভেবে বরং স্টিভ অতঙ্কে ভুগছেন জো রুটরা। তাঁর মুখেও একই কথা, স্টিভ কে সরিয়ে দিলে দুই দলে কোনও পার্থক্য নেই।