সংক্ষিপ্ত
- প্রশাসক হিসেবে ৬ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের
- মেয়াদ কাল শেষ হয়ে গিয়েছে বিসিসিআই সচিব জয় শাহেরও
- লোধা কমিটির আইন মেনে দুজনকেই যেতে হবে ৩ বছরের কুলিং অফে
- তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বিসিসিআইয়ের করা আবেদনের শুনানি আজ
আজ ভাগ্য নির্ধারণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহদের। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব পদে অমিত শাহ পুত্র জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কিনা তা ঠিক করবে দেশের শীর্ষ আদালত। সৌরভ এবং জয় শাহের মেয়াদ যাতে ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয় সেই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন বোর্ডের কোষাধক্ষ্য অরুণ ধুমাল। ফলে সৌরভ ও জয় শাহের ভাগ্য কি নির্ধারণ হয় সেদিকেই তাকিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহল।
আরও পড়ুনঃপদ্ম শিবিরে যোগ দিলেন মেহতাব হোসেন, বললেন 'বিজেপি ধর্মনিরেপক্ষ দল '
দীর্ঘ দিন ধরে কয়েক জন প্রশাসকের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য লোধা কমিটি নয়া আইন কার্যকর করে। আইন অনুযায়ী কোনও প্রশাসক ৬ বছরের বেশি একটানা পদে থাকতে পারবে না। তাদের ৩ বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। তারপর তারা পুনরায় প্রশাসক হতে পারবেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসক হিসেবে নিজের ৬ বছর পূর্ণ করে ফেলেছেন সচিব জয় শাহ। আগামী ২৭ জুলাই প্রশাসক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে। কারণ, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সিএবি সচিব এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাঁচ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন সৌরভ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও এক বছর কাটানোর ফলে প্রশাসক সৌরভে টানা ৬ বছরের মেয়াদ কাল পূর্ণ। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহও গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিসিআই পদ মিলিয়ে ৬ বছর মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী কুলিং অফে যেতেই হবে তাদের।
আরও পড়ুনঃবাঙালি ফুটবলার তুলে আনতে অভিনব উদ্যোগ আইএফএ সচিবের
আরও পড়ুনঃ২৫ জুলাই বিশ্ব জুড়ে মিলিত হচ্ছে মেরিনার্সরা, হবে সবুজ-মেরুণের আইলিগ জয় সেলিব্রেশন
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় বোর্ডের তরফে। কারণ বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের খুবই কঠিন সময়। এক আইপিএল আয়োজন করা ও দুই পরপর দুটি বিশ্বকাপ। ফলে এই সময় নয়া প্রেসিডেন্ট এসে বোর্ডের দায়িত্বভার বুঝে নিতে যে সময় লাগবে তার থেকে অভিজ্ঞ সৌরভ ও জয়কেই উপযুক্ত বলে মনে করছেন বিসিসিআই কর্তারা। করোনা মহামারীরর এই বিপদের দিনে তারাই বোর্ডের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছেন। কিন্তু ব্যাক্তি কোনও দিনই আইনের উর্ধ্বে নয়। তাই দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় গোটা দেশ।