সংক্ষিপ্ত
- ২৩ তারিখ বসতে চলেছেন বোর্জের মসনদে
- দশ মাস অনেকটা সময়, বলছেন সৌরভ
- বোর্ড সভাপতির প্রথম লক্ষ্য ড্যামেজ কন্ট্রোল
- একাধিক কাজ থেকেও সরে আসছেন মহারাজ
২৩ তারিখ দায়িত্ব নিতে চলেছেন বোর্ড সভাপতি হিসেবে। প্রথম ধাপে কাজ করার জন্য দশ মাস সময় পাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর চয়ে যেতে হবে তিন বছরের কুলিং অফে। অনেকের মতেই মাত্র দশ মাস সৌরভের কাজ করার জন্য যথেষ্ট নয়। আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল মহারাজের। কিন্তু সৌরভ যে আর পাঁচ জনের মত ভাবতে রাজি নন। মাত্র দশ মাস হিসেব না করে, তিনি দশ মাসকেই অনেকটা সময় হিসেবে ধরছেন। এই দশ মাসের কার্যকালকে আপাতত দুটি ভাগে ভাগ করে নিচ্ছেন মহারাজ। প্রথম দুই থেকে তিন মাস ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন সৌরভ।
আরও পড়ুন - ৪১-এ পা দিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার জোয়ার
গত তিন বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেট সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক গোষ্ঠির হাত ছিল। তাই এই সময়ে বোর্ডের অনেক কাজই আটকে রয়েছে। এতদিন ভারতীয় ক্রিকেট যে ভাবে পরিচালিত হয়েছে সেই ধারা আবার ফিরে আসছে ২৩ অক্টোবর থেকে। প্রশাসকদের হাত থেকে বোর্ডের দায়িত্ব তুলে নিতে চলেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম। তাই গত প্রায় তিন বছর ধরে যে আপাতকাল চলেছে সেই ধাক্কা থেকে বোর্ডকে বেড় করে আনাই সৌরভের প্রধান লক্ষ্য। একই সঙ্গে সরাসরি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত বিষয় গুলিতেও নজর রাখতে হবে। তাই হাতে কত সময় আছে সেটা না ভেবে কাজে নেমে পরতে চাইছেন সৌরভ।
আরও পড়ুন - ছক্কা মেরে টেস্টের প্রথম ডবল সেঞ্চুরি রোহিত শর্মার, রাঁচি মজে হিটম্যানের ব্যাটে
কিন্তু বোর্ড সভাপতি ছাড়াও যে আরও একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মহারাজ জানিয়েছেন, টেলিভিশন চ্যানেলে একটি কুইজ শো ছাড়া আর সব কিছু থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে চলেছেন তিনি। তা সে কমেন্ট্রি হোক বা ক্রিকেট নিয়ে লেখালেখি। আইএসএল ফ্রাঞ্চাইজি এটিকের অন্যতম মুখ তিনি। এই নিয়েও কলকাতার ফুটবল ফ্রাঞ্চাইজির অন্য কর্ণধারদের সঙ্গে কথা বলতে চান সৌরভ। আগামী দস মাস তিনি শুধু ভারতীয় ক্রিকেট ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাজ ছাড়া আরও অন্য কোনও দিকে নজর দিতে চাইছে না। তাই সৌরভের কাছে দশ মাসটা অনেকত লম্বা সময়। ক্রিকেট মহলের আশা এই দশ মাসেই ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে নিজের একটা ছাপ রেখে যাবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন - সৌরভ বোর্ড সভাপতি হতেই বিরাট করলেন বাই-বাই, গল্পটা আসলে কী