সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের জেরে উত্তর প্রদেশের গ্রামে বন্দি আম্পায়ার অনিল চৌধুরি
  • গ্রামে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যায় পড়েছেন তিনি
  • কথা বলতে গাছের মগডালে উঠছেন আইসিসি প্যানেলের আম্পায়ার
  • করোনার জেরে এমন বিড়ম্বনার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি অনিল চৌধুরি
     

করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে গোটা বিশ্ব জুড়েই চলছে লকডাউন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সকলেই গৃহবন্দি। গৃহবন্দি থাকার ফলে বিভিন্নভাবে সময় কাটাচ্ছেন কলে। কেউ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, কেউ আবার অবসর সময়ে নিজের সখ পূরণ করছেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে লকডাউন খুবই জরুরি হলেও, এই লকডাউনের ফলে সমস্যা লা বিড়ম্বনা ও বেড়েছে মানুষের। তা সে রোজকার কমে যাওয়া থেকে খাবার জোগান যাই হোক। কিন্তু লকডাউনে প্রতিদিন নিয়ম করে গাছে চড়তে হচ্ছে এমন বিড়ম্বনা শুনেছেন কী? হ্যা এমনই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন আইসিসির প্যানেল ভুক্ত আম্পায়ার। কারণ মোবাইলের নেটওয়ার্ক। প্রয়োজনে কথা বলতে রোজ গাছে উঠছেন আর নামছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃকরোনা যুদ্ধে ফের মানবিক উদ্যোগ সচিন তেন্ডুলকরের,৫ হাজার মানুষের খাওয়ার দায়িত্ব নিলেন মাস্টার ব্লাস্টার

অন্য কোনও দেশের নয়, এই ঘটনা ভারতের। আইসিসি’র আন্তর্জাতিক প্যানেলে থাকা আম্পায়ার অনিল চৌধুরির এটাই এখন রোজনামচা। উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার গ্রাম ডাঙ্গরোলে আদিবাড়ি অনিল চৌধুরির। বাতিল হয়ে যাওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও আম্পায়ারিং করার কথা ছিল অনিল চৌধুরীর। কিন্তু করোনা ভাইরাস আতঙ্কের জেরে সিরিজ বাতিল হওয়ায় দুই ছেলেকে নিয়ে ছুটিতে দেশের বাড়ি গিয়েছিলেন অনিল। কিন্তু দেশের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যে এমন বিড়ম্বনায় পড়বেন অনিল চৌধুরী তা স্বপ্নেও ভাবেনি। দেশের বাড়িতে যাওয়ার পরই দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়। তারপর থেকে সেখানেই থেকে গিয়েছেন অনিল। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে ঘরবন্দি হওয়ায় ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন আইসিসির প্যানেল ভুক্ত আম্পায়ার। তাই কোনও ফোন করার সময় রোজ গাছের মগজালে উঠছেন। নেটওয়ার্ক পেলে কথা বলছেন,আর না পেলে নেমে পড়ছেন। আবার চেষ্টা করছেন পড়ে। এই বিষয়ে অনিল চৌধুরি জানিয়েছেন, “গত ১৬ মার্চ থেকে গ্রামের বাড়িতে বন্দি আমি। সবচেয়ে বড় সমস্যা, এখানে ফোনের কোনও টাওয়ার নেই। ইন্টারনেট নেই। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।আমার অবস্থাটা ভেবে দেখুন একবার। কারও সঙ্গে কথা বলতে হলে দু’টো রাস্তা আমার সামনে খোলা থাকছে। হয় গ্রামের বাইরে যাও। নইলে গাছে ওঠো। আমার মা দিল্লিতে। স্ত্রীও। কী করে কথা বলব, বুঝে উঠতে পারছি না। নিত্য গাছে উঠে কথা বলতে হচ্ছে!” 

আরও পড়ুনঃলিভারপুলের কিংবদন্তী কেনি ডালগ্লিশ করোনায় আক্রান্ত, চিকিৎসাধীন হাসপাতালে

আরও পড়ুনঃফের করোনার থাবা ফুটবল বিশ্বে, আক্রান্ত বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ব্রিটিশ ফুটবালর নর্ম্যান হান্টার

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এই দুরাবসস্থার কথা জানিয়ে ছবিও শেয়ার করেছেন অনিল চৌধুরি। জানিয়ছেন, "শুধু বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নয়, নেট না থাকায় আমার ছেলেরা অনলাই  ক্লাসেও যোগ দিতে পারছে না। আমারও আইসিসসির অনলাইনে প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার কথা কিন্তু কীভাবে তা জানিনা।" ফলে চরম সসস্যায় পড়েছেন অনিল চৌধুরি ও তার ছেলেরা। করোনা যে তাকে এহেন বিপদে ফেলবে তা বুঝতেও পারেননি অনিল। ফলে যে কোনও যোগাযোগের জন্য এখন গাছের মগডালই ভরসা আইসিসির আম্পায়ারের।