সংক্ষিপ্ত

অবশেষে সব জল্পনার অবসান। সরকারিভাবে বাংলা ছাড়লেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (Cricket Association Of Bengal) তরফ থেকে পেয়ে গেলে এনওসি (NOC)। আগামি মরসুমে খেলবেন নতুন দলে।
 

ভারতীয় দলে ব্রাত্য। বাংলা দলের সঙ্গে বাড়ছিল দূরত্ব। এক সিএবি কর্তা  তার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকেই অভিমান জন্মেছিল মনে। তারপরও আইপিএল ২০২২-এ ব্য়াট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। বাংলা ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ আগেই করেছিলেন। এনওসি-র কথাও আগেই ফোনে জানিয়েছিলেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াকে। অবশেষে ক্রিকেটে অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সঙ্গে সরকারিভাবে নিজের সম্পর্ক শেষ করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। আর বাংলার জার্সি গায়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যাবে না তারকা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্য়ানকে। সিএবির থেকে পেয়ে গেলেন নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও। আগামি মরসুমে নতুন দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে শিলিগুড়ির পাপালিকে।

শনিবার দুপুরে সিএবিতে হাজির হয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। আসার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন  সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এবং যুগ্ম-সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ঋদ্ধিম মনা ভঞ্জনের জন্য শেষ চেষ্টা করেন দুই সিএবি কর্তা। তাদের সঙ্গে মোট ৩৭ মিনিটের বৈঠক করেন ঋদ্ধিমান সাহা। । ঋদ্ধিকে এ দিন আবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয় বাংলায় থাকার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবরকম চেষ্টা করেও বরফ গলেনি। বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন অভিজ্ঞ উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যান। শেষ পর্যন্ত কোনও সমাধান না মেলায় ঋদ্ধিমান সাহাকে এনওসি নিয়ে দিয়ে দেয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। তবে আগামি মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন দলের হয়ে খেলবেন তা এখনও খোলাসা করে জানাননি ঋদ্ধিমান সাহা। 

সিএবি থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঋদ্ধি। সেখানে জানান,'আমাকে আগে অনুরোধ করা হয়েছিল। আজকেও বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই আজ এনওসি নিয়েই নিলাম। বাংলার সঙ্গে কোনও দিন আমার কোনও ইগো ছিল না। হয়তো কোনও ব্যক্তির সঙ্গে মতান্তর হয়ে থাকতে পারে, তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বাংলার জন্য সব রকম শুভেচ্ছা থাকল।' নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ ও আগামি মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন দলের হয়ে খেলবেন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ঋদ্ধি জানিয়েছেন,'এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যখন ১০০ শতাংশ হবে তখন সবাই সরকারি বা বেসরকারি ভাবে ঠিকই জানতে পারবেন। আগে থেকে সরকারি ভাবে কিছু বলতে পারব না। অনেক রাজ্যের সঙ্গেই কথা চলছে। দেখা যাক কী হয়।' শেষ হল ঋদ্ধি-সিএবি সম্পর্ক।  

আরও পড়ুনঃএজবাস্টন টেস্টে শুধু শতরান নয়, ঋষভ পন্থ গড়লেন আরও একাধিক রেকর্ড, দেখে নিন এক ঝলকে

আরও পড়ুনঃপন্থ-জাদেজার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ সচিন, প্রথম ইনিংসে ভারতের টার্গেট ঠিক করে দিলেন সৌরভ