সংক্ষিপ্ত

গতবারের থেকেও এবার একটু অন্যভাবে পুজো পরিকল্পনা করেছে দমদম তরুণ দল। দমদম তরুণ দলের এবারের বিশেষ আকর্ষণ 'সিটি অব জয়'। সাবর্ণ্য রায় চৌধুরীর হাত ধরে বাংলায় দুর্গাপুজোর সূচনা থেকে আজকের থিম পুজোর পুরোটাই  'সিটি অব জয়'-এর মাধ্যমে তুলে ধরবেন দমদম তরুণ দল। পুরো মন্ডপটির আনাচে-কানাচে রয়েছে আকর্ষণ। পরিবেশ সচেতনতা ও কোভিডের কথা মাথায় রেখেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। 

দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ তারপরই মা আসছে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো । প্যান্ডেল থেকে ঠাকুর, পুজোর থিম থেকে লাইটিং সবকিছুর প্রস্তুতিই এখন তুঙ্গে। পুজো নিয়ে বরাবরই বাঙালির একটা টানটান উত্তেজনা রয়েছে। সারা কলকাতা আলোতে সেজে উঠছে। 
 কোন পুজোর কী থিম তা জানতেও মুখিয়ে রয়েছেন সকলেই। প্রত্যেক বারের মতোই এবারেও নয়া ভাবনা উপস্থাপন করছে দমদম তরুণ দল।  দমদম তরুণ দল এবারের থিম হলো- 'সিটি অব জয়'। প্রতি বছরই নয়া নয়া থিমে সকলকে চমকে দেয়  দমদম তরুণ দল। এবারও সেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। প্রতিমা সজ্জায় পিন্টু সিকদারএবং মন্ডপ সজ্জায় প্রদীপ দাসের ছোঁয়ায় এই থিম হয়ে উঠবে জীবন্ত। ২ রা জুলাই থেকে খুঁটিপুজোর মাধ্যমে শারদোৎসবের শুভ সূচনা হয়েছে  দমদম তরুণ দলের।


 মহাসঙ্কট কাটিয়ে সকলেই একটু একটু ছন্দে ফিরেছেন। সেইমতো  পুজোর বাজেটও গত বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্য। গতবারের থেকেও এবার একটু অন্যভাবে পুজো পরিকল্পনা করেছে দমদম তরুণ দল। দমদম তরুণ দলের এবারের বিশেষ আকর্ষণ 'সিটি অব জয়'। সাবর্ণ্য রায় চৌধুরীর হাত ধরে বাংলায় দুর্গাপুজোর সূচনা থেকে আজকের থিম পুজোর পুরোটাই  'সিটি অব জয়'-এর মাধ্যমে তুলে ধরবেন দমদম তরুণ দল। পুরো মন্ডপটির আনাচে-কানাচে রয়েছে আকর্ষণ। পরিবেশ সচেতনতা ও কোভিডের কথা মাথায় রেখেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। গত দুবছর ধরে যেভাবে মহামারিতে পুজো হয়েছে সেগুলির সবই ব্যবস্থা করা হবে। যেমন মাস্ক  থেকে স্যানিটাইজার সবকিছুই থাকছে মন্ডপে। পুজোর দিনে বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি দমদম তরুণ দল। একে তো  প্রচুর মানুষের ভিড়  তারপর রাস্তা আটকে পুজোর সময় কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। বরং পুজোর পর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই  বেশ কিছু শারদ সম্মান রয়েছে দমদম তরুণ দলের ঝুলিতে। তবে এশিয়ান পেইন্টস এখনও পর্যন্ত তাদের ঝুলিতে জায়গা করতে পারেনি। গত চার বছর ধরে বিশ্ব বাংলা সেরার সেরা পুরস্কার  পেয়ে আসছে দমদম তরুণ দল।  দমদম তরুণ দলের  পুজো কমিটির সদস্য লোকনাথ সকলের উদ্দেশ্য জানিয়েছেন, এবারের পুজোতে সাধারণ মানুষকে আটকানো যাবে না। প্রায় বাধ ভাঙা ভিড় হতে চলেছে তবে সচেতন হতে হবে নিজেকে এবং নিজের সন্তানকে সামলাতে হবে।  হেল্প ডেস্ক থেকে শুরু করে ডাক্তার, অ্যাম্বুলেস, জল সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে দশনার্থীদের সহযোগীতা একান্ত ভাবে কাম্য।

 

 

মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা দিয়েই দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ। ইতিমধ্যেই সাদা কাশফুল জানান দিচ্ছে মা আসছে। হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। সারা শহর আবার সেজে উঠবে আলোয়। দেবী দুর্গার আগমনে চারিদিকে যেন সাজো সাজো রব। গোটা বছর ভর এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকে বাঙালিরা।  ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে পুজোর কাউন্টডাউন।    করোনাকালে মহাসঙ্কট কাটিয়ে যেন ফের ছন্দে ফিরেছে আট থেকে অষ্টাদশী। পুজোর আনন্দে খুশির রেশ বাঙালির মনে। তার উপর বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ায় তা যেন বড় গর্বের ও আনন্দের বটে। সুতরাং সাবেকিয়ানা থেকে থিম পুজো দেখতে হলে অবশ্যই আসতে হবে দমদম তরুণ দলে।
 

আরও পড়ুন- ৮৩তম গৌরবময় দুর্গোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন

আরও পড়ুন-জমজমাট পুজোয় অদেখার যাত্রায় যেতে প্রস্তুতি চলছে সিকদার বাগান সাধারন দুর্গোৎসব কমিটির

আরও পডুন- জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো মণ্ডপে শরতে বর্ষার আমেজ, অন্য পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা