সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় পুজোগুলির মধ্যে একটি হল ভবানীপুর ৭৫ পল্লী ক্লাবের পুজো। প্রত্যেক বছর পুজোর থিমে অভিনবত্বের জন্য বিখ্যাত এই পুজো। এই বছর সেই রীতির অন্যথা হল না। ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজোর থিমে এবার উঠে এল বাংলার ঐতিহ্যময় পটশিল্প। 
 

বাংলার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে পটশিল্পে সাজতে চলেছে ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজো মণ্ডপ। শিল্পী প্রশান্ত পালের ভাবনায় উঠে এসেছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যময় শিল্পকলা। ২০২২ সালের দুর্গাপুজোয় ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর থিম 'ঐতিহ্য বেঁচে থাকুক'। এই থিমের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন সমৃদ্ধ হবে বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি, অন্যদিকে আবার রাজ্যের পটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের জন্য নিজের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের সুযোগও মিলবে মণ্ডপে। 

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় পুজোগুলির মধ্যে একটি হল ভবানীপুর ৭৫ পল্লী ক্লাবের পুজো। প্রত্যেক বছর পুজোর থিমে অভিনবত্বের জন্য বিখ্যাত এই পুজো। এই বছর সেই রীতির অন্যথা হল না। ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজোর থিমে এবার উঠে এল বাংলার ঐতিহ্যময় পটশিল্প। 

২০২২ সালের দুর্গা পুজোয় ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর থিম 'ঐতিহ্য বেঁচে থাকুক'। বাংলার সুপ্রাচীন এই শিল্প শৈলীতেই সজ্জিত হবে এবারের মণ্ডপ। গ্রাম বাংলার বহু মানুষ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে যুক্ত থাকতেন এই শিল্পের সঙ্গে। এখনও মেদিনীপুর জেলার পিংলা,নয়াগ্রামের বহু শিল্পী বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলার এই সংস্কৃতিকে। 

আরও পড়ুন ৭৬ বছরের ইতিহাসের পুনর্নিমাণ! দুর্গা পুজোর মণ্ডপে নয়ের দশকের নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনছে সমাজসেবী সঙ্ঘ

সম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজোকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর এই থিমের মাধ্যমে উদযাপিত হবে বাংলার এই সাফল্য তথা বাংলার সংস্কৃতি। 
ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর সদস্য সায়ন দেব চ্যাটার্জি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এটি একটি বড় সম্মান যে ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপূজাকে একটি  সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পট শিল্পের এই বিলুপ্তপ্রায় শিল্প রূপটি এ বছর আমাদের পূজা উপস্থাপনার মাধ্যমে তার হারানো গৌরব ও খ্যাতি ফিরে পাবে। মেদিনীপুর জেলার পিংলা ও নয়াগ্রাম গ্রামের পট  শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পূজা মন্ডপের পাশে  স্টলে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন  ও বিক্রি করবেন।

আরও পড়ুন একচালার প্রতিমা থেকে ধুনুচি নাচ, প্রথা মেনেই সাবেকি আদলে হচ্ছে যোধপুর পার্ক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো

যাতায়াত, খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত খরচ সম্পূর্ণরূপে পূজা কমিটি বহন করবে। যেভাবে আমরা গত বছর ছৌ  এবং ঝুমুর শিল্পীদের জন্য করেছিলাম। যারা লাইভ পারফর্ম করেছিলেন এবং পুরুলিয়া জেলার মুখোশ শিল্পীরা যারা তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রি করেছিলেন।আমরা আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত তাই  এই শিল্পীদের  মধ্যে অন্তত কিছুকে সাহায্য করার জন্য আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব।"

আরও পড়ুন - আর্ট কলেজের ব্যস্ততা থেকে নান্দনিকতা-বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘের পুজোয় থিমে ইউনেসকোর সম্মান জয় করা শিল্পীরা