সংক্ষিপ্ত
দাদার মৃত্যুতে না কাঁদলেও চোখে জল এল ঐন্দ্রিলার মৃত্যু সংবাদ শুনে। ফেসবুকে ৮ বছর আগে নিজের দাদাকে হারানোর সেই স্মৃতিচারণ করলেন অভিনেত্রী।
'প্রার্থনা যে না থামে', ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে স্মৃতি ভারাক্রান্ত অভিনেত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক সায়নী ঘোষ। অজান্তেই যেন সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে বিনি সুতোয় বাঁধা পড়েছে সায়নীর জীবন। ঐন্দ্রিলার লড়াই, সব্যসাচীর লড়াই, ঐন্দ্রিলার পরিবারের লড়াই তো তাঁর বড্ড চেনা। স্মৃতির পাতায় খানিকটা পিছিয়ে গিয়ে নিজেকে একই ভূমিকায় খুঁজে পেলেন সায়নী। সেই এক রোগশয্যা, সিসিইউ-এর কাঁচের দেওয়াল। সেই এক শরীর জোড়া নল, যন্ত্রপাতি, আর একটা রোগগ্রস্থ ক্লান্ত শরীর। কাছের মানুষের নিস্তেজ শরীর। তাঁকে ফিরিইয়ে আনার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চেষ্টা। আর একটা শব্দ,'প্রে ফর হিম।' এসবই তো সায়নীর বড় চেনা। সেদিন কনজেনটিয়াল হার্ট ডিজিসে আক্রান্ত দাদার মৃত্যুতে না কাঁদলেও চোখে জল এল ঐন্দ্রিলার মৃত্যু সংবাদ শুনে। ফেসবুকে ৮ বছর আগে নিজের দাদাকে হারানোর সেই স্মৃতিচারণ করলেন অভিনেত্রী।
ঐন্দ্রিলাকে খুব বেশি কাছ থেকে না চিনলেও তাঁর লড়াইকে অনুভব করতে পারেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তার চেয়েও বেশি অনুভব করতে পারেন সব্যসাচীর লড়াই, ঐন্দ্রিলার পরিবারের লড়াই। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে স্মৃতিভারাক্রান্ত সায়নী। আট বছর আগে নিজের দাদাকে হারিয়েছেন সায়নী। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে যেন সেই স্মৃতিই আবার ফিরে এল। ফেসবুকে অভিনেত্রী লিখলেন, 'বিগত কয়েক বছরে ওর লড়াই, ওর কষ্ট, ওর পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধব সবার সংগ্রাম সম্বন্ধে নানান জায়গায় পড়েছি। ওর অ্যাকটিভিটি ফলো করেছি। মাঝে সুস্থ্য হয়ে ফিরে এসে কাজ শুরু করলো। ওর ব্যাপারে ভালো কোনো খবর শুনলেই ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠত সেই মৃদু হাসি। ' ঐন্দ্রিলা অসুস্থতার সময় বন্ধু সৌরভের থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজও নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। সেবারও ফোনের ওপার থেকে ভেসে এসেছিল সেই চির পরিচিত তিনটে শব্দ 'প্রে ফর হার।'
স্মৃতির পাতা উল্টে আট বছর আগে দাদাকে হারানোর সেই ভয়াবহ দিনের কথাও লিখেছেন সায়নী। কীভাবে সব আশার আলো নিভে গেলেও শত চেষ্টা করে মৃত্যুর মুখ থেকে দাদাকে ফিরিয়ে আনতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি। কীভাবে ব্যাঙ্গালোর থেকে সুস্থ হয় ফেরার মাত্র তিন দিনের মাথায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন দাদা, সমস্তটা লিখলেন সায়নি। আট বছর আগে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা সায়নীর অসহায় বাবা, মাঝরাতে কেঁদে ওঠা তাঁর মায়ের ছবিই তিনি ফের একবার দেখতে পেলেন ঐন্দ্রিলার পরিবারের মধ্যে। তাঁদের লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন সায়নী। শেষে ঐন্দ্রিলার পরিবারের জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বলে সায়নী লিখলেন,' আপনাদের প্রার্থনা যেন না থামে, প্রার্থনা করুন ওর পরিবার যেন শক্তি পায়, ছেলেটি যেন মানসিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে! আমাদের জন্যেও সবাই করেছিল, অফুরান, তাই আমরাও পেরেছি, ওরাও পারবে!' ঐন্দ্রিলাকে মনে করে তিনি লিখলেন,'ঐন্দ্রিলা তুই সুন্দর, তুই স্বর্গের মতো সুন্দর, বিশ্বাস কর, তুই থাকবি, সবটা জুড়ে থাকবি, সারা জীবন থাকবি... যেমন আছে দাদাভাই!'
আরও পড়ুন -
'ভাল থেকো লড়াকু মেয়ে', ঐন্দ্রিলাকে না চিনলেও তার জন্য আবেগতাড়িত পোস্ট জয়া আহসানের
হাসি পেয়েছে যখন সব্যকে শুনতে হয়েছে, প্রেমিকাকে দেখিয়ে কেরিয়ার বাঁচাচ্ছে: রাহুল অরুণোদয়