তথাগতর জন্মদিনে আলোকবর্ষা বসু তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন। তিন মাসের সম্পর্কেই গভীর প্রেম, ভ্রমণ, বই, সিনেমা—এসব নিয়েই তাঁদের জীবন।
এবার তথাগত প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনে মুখ খুললেন আলোকবর্ষা বসু। তিনি জানান, "তথাগত কখন যে আমার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠল, তা বুঝতেই পারিনি। যদিও আমাদের সম্পর্কের বয়স মাত্র তিন মাস, তথাগত শুরুতেই বুঝেছিল—এটা শুধুই বন্ধুত্ব নয়। হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন কবে যে প্রেমে রূপ নিল, তা টের পাওয়ার আগেই ক’টা মাস কেটে গেছে। আমি ওর জীবনে আসার পর এটাই ওর প্রথম জন্মদিন। তাই এবারটা একটু আলাদা করে উদযাপন করতেই চেয়েছি—যাতে বোঝা যায়, ওর জীবনে নতুন কেউ এসেছে।
তিন মাসে কোনও মানুষকে পুরোপুরি জানা সম্ভব নয়, তবে এটুকু বুঝেছি—তথাগত ভ্রমণ আর খাওয়াদাওয়ায় ভীষণ আনন্দ পায়। আমাদের দু’জনেরই বই পড়া আর সিনেমা দেখার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। হয়তো এই মিলগুলোর কারণেই এত অল্প সময়েই আমরা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছি।
জানি, আমাদের বয়সের ফারাক নিয়ে অনেকের প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু সত্যিই কি ভালোবাসার ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা হতে পারে? আমার মা-বাবাও তো আমাদের বয়সের ব্যবধান নিয়ে কখনও কোনও আপত্তি তোলেননি।
মাঝরাতে বন্ধুরা এসেছিল, খাওয়া-দাওয়াও হয়েছে—এই অংশটা খুব একটা আলাদা কিছু নয়। তবে এবার আমি একটু ভিন্ন কিছু ভেবেছি। ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি, কারণ জানি তথার পাহাড় খুব প্রিয়। অনেক খুঁজে অসমের এক অসাধারণ জায়গা বেছে নিয়েছি। এখনই সবটা বলে দিতে চাই না—চমকটা থাকুক! তথাগত কাজের মানুষ, তাই এই সফরেও ও নিজের কাজটাকে সঙ্গে নিয়েই চলেছে।
এই ট্রিপে ‘পারিয়া ২’-এর রেকিও হয়ে যাবে। তথার জীবনে এটাই প্রথম জন্মদিন, যা ও শহরের বাইরে কাটাবে—তাই এই সফরটা যেন ওর মনে গেঁথে থাকে, সেটাই আমার চাওয়া। আমি তথার বন্ধু, আর জানি, ওর চল্লিশ বছরের জীবনে অনেক নারী এসেছে-গিয়েছে—এটা খুব স্বাভাবিক। যদি না হত, বরং তখনই অবাক হতাম। তবে আমি অতীত নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। ওর জীবনের পুরনো বিতর্ক বা আগের জন্মদিনগুলোতে কে কী করেছে, তা নিয়ে আমার কোনও কৌতূহল নেই।
আমার একমাত্র ইচ্ছে, এই জন্মদিনে আমার হাতে বানানো পায়েস আর পাস্তা খেয়ে তথাগত যেন তৃপ্তি পায়—সেটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।"


