সংক্ষিপ্ত

অনুযোগ, ‘আরে, সবার আগে আমরাও তো মানুষ! গত কাল থেকে সবাই আমায় এই একটি বিষয় নিয়ে জ্বালিয়ে মারছে।’ Are Srijit Mukherji Rafiath Rashid Mithila separating Is It True

রবিবাসরীয় সকাল আচমকা সরগরম। বিচ্ছেদের পথে সৃজিত মুখোপাধ্যায়-রফিয়াত রশিদ মিথিলা! এই খবরে তোলপাড় সংবাদমাধ্যম। সৌজন্যে তারকা দম্পতির দুটো টুইট। যেখানে নিজেদের ছবি দিয়ে তাঁরা নিজেদের পছন্দের উক্তি ব্যবহার করেছেন মাত্র। দেখতে দেখতে সেই টুইট ভাইরাল। পরীমণি-শরীফুল রাজ-বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের গুঞ্জনের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন গুঞ্জনের ঢেউ। সঙ্গে সঙ্গে নড়ে বসেছে দুই বাংলার বিনোদন দুনিয়া। তাঁদের অনুরাগীরাও। পুরোটাই কি নিছক রটনা? নাকি আদৌ তাতে সত্যির আভাস রয়েছে? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল সৃজিত-মিথিলা দু’জনের সঙ্গেই। কর্তা-গিন্নি আপাতত দুই প্রান্তে। সৃজিত শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত কেরলে। মিথিলা কলকাতায়। মঙ্গলবার উড়ে যাবেন তানজানিয়া।

তার মধ্যেই এত কাণ্ড! শোনার পরে কী প্রতিক্রিয়া তাঁদের? প্রশ্ন রাখতেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উভয়েই। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সৃজিত-ঘরনি। তাঁর কথায়, ‘রবিবার এই নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে কানে এসেছে। কী বলব? পুরোটাই ভুয়ো। একদম বাজে কথা। আমাদের মধ্যে এ রকম কিচ্ছু ঘটেনি। সৃজিতের একটা টুইট নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে যে যা পারছে লিখে দিচ্ছে। আমরা দু’জনেই কাজে ভীষণ ব্যস্ত।’ অভিনয়ের পাশাপাশি মিথিলা সমাজকর্মী। গবেষণার কাজও রয়েছে তাঁর হাতে। একই সঙ্গে ‘একা মা’। স্বাভাবিক ভাবেই দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাঁর। একই ভাবে বলিউড-টলিউড, বড় পর্দা-ওয়েব প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে একের পর এক ছবি, সিরিজ পরিচালনার কাজ জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালকের হাতেও।

 

 

সেই প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেছেন মিথিলা। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘মেয়ে সামলে, সংসার সামলে অফিসের কাজে আফ্রিকা যাওয়া-আসা করতে হয়। পিএইচডি-র লেখাপড়া তো আছেই। এর মধ্যে এ সব উটকো খবরের কোনও মানে হয়?’ তাঁর আরও যুক্তি, ‘আমি আমার ছবির সঙ্গে সব সময়েই দু’লাইন গান অথবা কবিতা ক্যাপশন হিসেবে দিই। এর আগেও বব ডিলানের গানের লাইন ব্যবহার করেছি। এটাই আমার বৈশিষ্ট্য। কখনও জোয়ান বেজের গানের পংক্তি ব্যবহার করি। তাতে কী?’ সৃজিতের টুইট প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তিনি প্রথমে পরিচালক-স্বামীর টুইট খেয়ালই করেননি। পরে খবর এবং টুইট সমেত বিষয়টি তাঁর নজরে আনা হয়। মিথিলা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরোটা বিনোদনের ‘টোটাল প্যাকেজ’!

 

তাঁদের বিয়েও ‘টক অফ দ্য টাউন’ ছিল। সামান্যতম সূত্র পেলেই তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঝড় তোলে। এমন পরিস্থিতিতে সৃজিত কী করেন? যথারীতি তিনি সংযত। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানিয়েছেন, ‘উটকো গুজব নিয়ে কথা বলার বাজে সময় নেই। কাজে আছি।’ মিথিলাকে অনেক সময়েই এই ধরনের মিথ্যে গুজব একেক সময় ছুঁয়ে যায়। সেই জায়গা থেকে তাঁর অনুযোগ, ‘আরে, সবার আগে আমরাও তো মানুষ! গত কাল থেকে সবাই আমায় এই একটি বিষয় নিয়ে জ্বালিয়ে মারছে।’ এর মধ্যে তাঁর ফটোশ্যুটও চলছে। কাজ, মিথ্যে গুঞ্জন— সব এক সঙ্গে সামলাতে সামলাতে মিথিলার বিরক্তি, তিনি কাজের চাপ সামলাতে সামলাতেই জেরবার। এ দিকে, তাঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মাঝমধ্যেই অকারণ ঠাট্টা-তামাশা! মেয়ে আয়রা তেহরিম খান বড় হচ্ছে। তাই এই ধরনের খবর ‘মা’ হিসেবে মিথিলাকে যথেষ্ট বিব্রত করে।

আরও পড়ুন

নানা কারণে প্রচুর সমঝোতা করেছি, প্রসূন তুমি আমার মতো সমঝোতা করো না: প্রসেনজিৎ

‘৩৫০-র উপর ছবি করেও গোল্ডেন শিখা পেলাম না!’, ‘দোস্তজি’ নিবেদন করে প্রসূনের পাশে প্রসেনজিৎ

‘মনখারাপ করবেন না স্যর, পাড়ার কাকাদের দেখে ছোটরা আর সিগারেট লুকোয় না’, কলমে টোটা