সংক্ষিপ্ত

সৌরভের কথায়, আপাতত ঐন্দ্রিলাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। ওর খবর জেনে অরিজিৎ নিজে থেকেই রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরের প্রথম সারির অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’

শুক্রবারের সন্ধের খবর, অরিজিৎ সিং সম্ভবত ঐন্দ্রিলা শর্মার চিকিৎসার খরচ বহন করতে চলেছেন। এমনই গুঞ্জনে তোলপাড় সপ্তাহান্তের প্রথম দিন। খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল সৌরভ দাসের সঙ্গে। তিনি এই মুহূর্তে শ্যুটিংয়ের কারণে ব্যাংককে। সেখান থেকেই বললেন, ‘চিকিৎসার ব্যয়ভার নয়, চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার মতো গুরুদায়িত্ব বহন করছেন অরিজিৎ। এই মুহূর্তে শিল্পী আমাদের কাছে ঈশ্বরের পাঠানো দেবদূতের মতোই। ওঁকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’ খবর, চিকিৎসার কারণে ইতিমধ্যেই নাকি ১০ লক্ষেরও বেশি অর্থ খরচ হয়ে গিয়েছে। 

এ দিকে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অরিজিৎ সিং ঐন্দ্রিলা শর্মার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে চলেছে। সংবাদমাধ্যম এও জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যের বাইরে অভিনেত্রীর চিকিৎসা করানো হতে পারে। সেই বিপুল খরচের দায়িত্ব নাকি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী। সৌরভ এই বক্তব্য নস্যাৎ করেছেন। তাঁর কথায়, আপাতত ঐন্দ্রিলাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। নিজের শহরে, আন্দুলের যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওঁর সেখানেই যাবতীয় সব কিছু হবে। ঐন্দ্রিলার খবর জেনে অরিজিৎ নিজে থেকেই রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরের প্রথম সারির অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কথা বলছেন। এতে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে। সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার পরিবার সহজেই অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারছেন।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলার অবস্থার উন্নতি না হলেও অবনতিও হয়নি। ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার আলোচনাও সম্ভবত হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকেরা নাকি সম্মতি জানাতে পারেননি। তাঁদের মতে, এই অবস্থায় ঐন্দ্রিলাকে স্থানান্তরিত না করাই ভাল। এতে নতুন করে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ সবের মাঝেই বুধবার রাতে ফেসবুকে সুনামি। মাঝরাতে খবর ছড়িয়ে পড়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা নেই। সেই পোস্ট আগুনের ফুলকির মতো ছড়িয়ে পড়ে। এবং দেখতে দেখতে দাবানল। বাংলার চোখ থেকে ঘুম উধাও। পোশাকশিল্পী থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী হয় আম জনতা— ফেসবুকেই ভেঙে পড়েছেন। রাত তখন দুটো। গুঞ্জন থামাতে সব্যসাচী চৌধুরী বাধ্য হয়ে কলম ধরেন। তাঁর কাতর মিনতি, ‘আর একটু থাকতে দাও ওকে… এ সব লেখার অনেক সময় পাবে।’ সেই পোস্ট ধুলোপড়ার মতো কাজে দিয়েছে। নিমেষে থমথমে পরিবেশ। সবাই শোকার্ত তখনও। কিন্তু সেই শোক অনেকটাই সংযত। আবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধেন সবাই। অনেকেই ফেসবুকে দুঃখপ্রকাশ করেন। ক্ষমা চেয়ে নেন সব্যসাচীর কাছে। সরিয়ে নেন তাঁদের পোস্ট।

সব্যসাচীর পরেই সৌরভ ফেসবুকে মিনতি জানান, ‘বেঁচে আছে এখনও। মেরে ফেলো না ওকে। পায়ে পড়ছি...!’ তাঁর ক্ষোভ, ‘নিশ্চিত, Video বানিয়েও রাখা হয়েছে? এবং আপনি তাঁকে কতটা ভালবাসতেন বা শেষ যখন তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল সেই আবেগময় পোস্ট? সামাজিক প্রতিবন্ধীর দল!’ ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ভেন্টিলেশন লাগোয়া একটি ঘরে নিজেকে বন্দি করে নিয়েছেন সব্যসাচী। সেখান থেকে এক মুহূর্তের জন্য নড়ছেন না। এত দিন তাঁকে আগলে রাখতেন অভিনেতা এবং ‘হোঁদল’ রেস্তরাঁর তিন কর্ণধারের অন্যতম সৌরভ। তিনি সোমবার রাতে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে ‘বিবাহ অভিযান ২’-এর শ্যুট শুরু হয়েছে তাঁর। খবর, তিনি চলে যাওয়াতে অনেকটাই অসহায় বোধ করছেন সব্যসাচী।

আরও পড়ুন

‘যাদের পথ চলা বাকি তাদের রেখো, আমি প্রস্তুত’, নিজের জীবনের বিনিময়ে ঐন্দ্রিলার প্রাণভিক্ষায় শ্রীলেখা

ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আর্জি অনিন্দ্যর, ‘এক্ষুণি প্রয়োজন নেই’, মত সব্যসাচীর

‘ভেন্টিলেশনেও লড়াই জারি, মাটি কামড়ে পড়ে ঐন্দ্রিলা’, হাসপাতাল থেকে দেখে এসে আর কী জানালেন রিমঝিম?