প্রবীণ অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার পাশাপাশি একাধিক সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের 'প্রতিদ্বন্দ্বী' থেকে শুরু করে সুজয় ঘোষের 'কাহিনি'-র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করে তিনি।

না ফেরার দেশে প্রবীণ অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। বহুদিন ধরে ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত নানান রোগে। পাশাপাশি ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো সংক্রমণও দেখা যায়। নানান রোগে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে কয়েক দিন ধরে। শেষে স্তব্ধ হল সকল লড়াই। প্রয়াত হলেন অভিনেতা। ৮৯-এ প্রয়াত হন বাংলার এই বিখ্যাত অভিনীতা। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।

টলিউড অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল জানিয়েছেন, কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়, এক আকাশের নিচে-র কানাই দা চলে গেলেন। আলভিদা। আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকেও শোক প্রকাশ করা হয়। সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ফোরামের সদস্যরা সাধ্যমতো তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন।

বহুবছর ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৭১) ছিল তাঁর প্রথম ছবি- যা আজও বাঙালির মনে থেকে গিয়েছে। এরপর একে একে আপনজন (১৯৬৮), সাগিনা মাহাতো (১৯৭০), ধন্যি মেয়ে (১৯৭১), জনঅরণ্য (১৯৭৬)-র মতো অসংখ্য কাল্ট ছবিতে অভিনয় করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বাংলা চলচ্চিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। টলিউড নয় বলিউডেও তিনি অভিনয় করেন। সুজয় ঘোষের হিট থ্রিলার- কাহিনি-তে অভিনয় করেন প্রবীণ অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সারা জীবন ধরে একের পর এক ভালো ছবি উপহার দিয়েছে তিনি।

শেষ কয় বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। নানান রোগে ভুগছিলেন। শেষ রক্ষা আর হল না। প্রয়াত হলেন অভিনেতা। 

এদিকে নভেম্বর মাসে ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। ৮ ডিসেম্বর ৯০-এ পা রাখতেন অভিনেতা। কিন্তু, তার আগেই চিরঘুমের দেশে পারি দিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ধর্মেন্দ্র। মাঝে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ভেন্টিলেশনে। কদিন আগে, তিনি রুটিন চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। অবশেষে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতেই হচ্ছিল চিকিৎসা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।