সংক্ষিপ্ত
প্রয়াত পরিচালক অরুণ রায়। বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন তিনি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন পরিচালক। সপ্তাহখানেক আগে ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে ভর্তি ছিলেন আরজি কর হাসপাতালে। আজ বৃহস্পতিবার শেষ হল লড়াই। প্রয়াত হলেন পরিচালক অরুণ রায়। তাঁর মৃত্যুর খবর জানালেন অভিনেতা তথা চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ।
২০২৩ লালে মুক্তি পায় অরুণ রায় পরিচালিত ছবি বাঘা যতীন। দেব অভিনীত ছবিটি মন কেড়েছিল সকলের। পরিচালক হিসেবে বেশ খ্যাত পেয়েছিলেন তিনি। দেব পরিচালককে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করলেও শেষ রক্ষা হল না। আর জি করে ভর্তি ছিলেন পরিচালক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন।
পরিচালক অরুণ রায়কে গতকাল দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী অনুষ্কা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে যখন বের হই, তখনই অবস্থা খুব ডিটোরিয়েট করেছিল। একটা অ্যাটাক হয়েছে ৬.৩০ নাগাদ। হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানায়। তার আধঘন্টা পরেই কনফার্ম করে দেয়। হরিদেবপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।’
জানা গিয়েছে, গত বছর শেষে দিক থেকে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। কেমোথেরাপি চলছিল। তার সঙ্গেই শ্যুটিংর কাজ চালিয়ে যান। তাঁর সহকর্মীদের মতে তিনি খুব পিজিটিভ মানুষ ছিলেন। যখনই ক্যান্সার সংক্রান্ত বিষয় তাঁকে প্রশ্ন করা হত তিনি আপত্তি জানাতেন। তিনি বলতেন, এই রোগ যে কারও হতে পারে। এটা তো কোনও আলোচ্য বিষয় হকে পারে না। পরিচালক অরুণ রায়ের মনোবলের প্রশংসা করতেন সকলে।
বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরিচালক অরুণ রায়। ১ জানুয়ারি অবস্থার অবনতি হয়। সে সময় অভিনেতা কিঞ্জল নন্দা বলেন, পরিচালক অরুণ রায়ের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। কোমায় রয়েছেন তিনি। ভেন্টিলেশনে জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে হীরালাল ছবির নির্মাতা। ২ তারিখ সকালে সেই লড়াই শেষ হল।
তাঁর প্রয়াণে টলিউডে নেমে এল শোকের ছায়া। পরিচালক অরুণ রায়ের প্রয়াণে সুদীপ্তা চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, পরিচালক অরুণ রায় আর নেই। নতুন বছরের দ্বিতীয় সকালে চলে গেলেন সব মায়া ছেড়ে। সে অরুণ দা কে আমরা চিনি, সেই অরুণ দা থেকে যাবেন আমাদের মনের ভিতর– ঠাট্টা, ইয়ার্কি, সিনেমা দেখা আর সিনেমার আলোচনা নিয়ে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন বিষয়কেও মজা করে কাটিয়ে দেওয়ার মত সাহস ছিলো তাঁর। শুধু যদি একটু নিয়ম, একটু সংযম… যাই হোক।
পরিচালকও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, এটা ঠিক করলেন না অরুণ দা। জানা যায়, বাঘাযতীন ছবির শ্যুটিং-র সময়ই ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে ছবির কাজ বন্ধ রাখেন নি। প্রথম স্টেজেই খাদ্যনালীতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। অসুস্থতা নিয়ে কাজ করেছিলেন। শুধু বাঘাযতীন নয়, অরণ্যের দিনরাত্রি-র কাজ শেষ করেন। তিনি হীরালাল, বাঘা যতীন, এগারো, ৮/১২ বিনয় বাদল দীনেশ ছবি তৈরি করে প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন অরুণ রায়। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া।