সংক্ষিপ্ত

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরীমণি? কারণ, আপাতত তিনি ছেলে রাজ্য-র কারণে অভিনয় দুনিয়ায় ফিরতে পারছেন না। এ দিকে মিম সুপারহিট!

নায়িকাদের চুলোচুলি নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে কোনও নায়িকার স্বামী  নায়ক হলে কথাই নেই! তা বলে বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের জন্মদিনেও বিতর্ক! বাংলাদেশের প্রথম সারির নায়িকার পরপর দুটো ছবি-মুক্তি, ‘পরাণ’, ‘দামাল’। দুটোরই নায়ক শরীফুল রাজ। দুটোই হিট। প্রচারে বেরিয়ে সহ-অভিনেতার হাতটাই ধরেছিলেন। সেখান থেকেই কি যত কাণ্ড? রাজের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। রাজ-ঘরনি পরীমণি খোদ অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই নিয়ে চর্চা শুরু। এবং সেই বিতর্কে ঘি ঢেলেছে মিমের পাল্টা মন্তব্য। তিনি পরীমণির পথেই হেঁটেছেন। ফেসবুকে প্রকাশ্যে পাল্টা তোপ দেগেছেন নায়িকাকে। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘যে বা যারা কোনও ধরণের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। তবে এ সবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।‘

বুধবার রাত ১২টা। ফেসবুকে পরীমণির আগুনে ভাষায় আক্রমণ, তাঁর স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে পরকীয়ায় মেতেছেন বিদ্যা মিম। তার জন্য তিনি দায়ী করেছেন ‘দামাল’-এর পরিচালক রাইহান রফিকে। তাঁর সপাট দাবি, ‘সিনেমার সাথে সাথে দালালিটাও ভাল করেন দেখি!’ ভর্ৎসনা মিমকেও, ‘নিজের জামাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল’! পরীর মতো বিদ্যাও বিবাহিত। সনি পোদ্দারকে ভালবেসেই বিয়ে করেছেন তিনি। অর্থাৎ, ঘুরিয়ে তাঁকেও তোপ দেগেছেন নায়িকা। এর পরেই নিজের স্বামীর পালা। পরীমণি শরিফুল রাজকেও ছাড়েননি। তাঁর প্রতি সমান অনুযোগ, ‘এটা এত দূর গড়াতে দেওয়া উচিৎ হয়নি তোমার।’ বিষয়টি দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের নজরে আসতেই আর চুপ থাকেননি বিদ্যা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনিও এক হাত নেন পরীমণিকে।

 

 

পাল্টা কী লিখেছেন বিদ্যা? তাঁর মন্তব্য, ‘'পরাণ' ও 'দামাল' সিনেমার আকাশছোঁয়া সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালেবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময় একটা পক্ষ আমার পথ চলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরণের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ সেই জায়গা থেকেই কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরীমণি? কারণ, আপাতত তিনি ছেলে রাজ্য-র কারণে অভিনয় দুনিয়ায় ফিরতে পারছেন না।

নিজের স্বপক্ষে মিমের আরও দাবি, ‘শিক্ষক বাবার আদর্শ ও মায়ের শেখানো সততাকে সঙ্গী করে দারুণ কিছু কাজ করার চেষ্টার মধ্যে দিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্খী-সহ সবার মন জয়ের চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। কখনওই নিজের পেশাদার জীবনের সঙ্গে এমন কিছু যুক্ত করতে দিইনি যা আমার পথচলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি জানি, আমার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ কী? বেড়ে উঠেছি কোন ধরণের পারিবারিক আবহে, আমার চারপাশটা কেমন।’ এখানেও কি পরীমণির ছেলেবেলা, বেড়ে ওঠা, মা-বাবার অভাব, শিক্ষা ও নৈতিকতা বোধের অভাবকেই কটাক্ষ করেছেন তিনি? পোস্টের শেষে পরীমণির পাশাপাশি সে দেশর সংবাদমাধ্যমকেও সাবধান করেছেন নায়িকা। তাঁর কথায়, ‘কোনও ধরণের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে বিভ্রান্তিকর কোনও খবর ছড়াবেন না। কোনেও ইউটিউব কিংবা পোর্টাল যদি আমাকে জড়িয়ে কোনেও ধরণের ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর চেষ্ট করে তা হলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’

 

এ সবের ফাঁকেই জন্মদিন উদযাপন করতেও দেখা যায় বিদ্যা মিমকে। রকমারি কেক টেবিলে সাজানো। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সব ক'টি কেকের বুকেই ছুরি বসান তিনি। এ ছাড়া, মাঝ রাত থেকেই শুভেচ্ছায় ভেসেছেন। তাই নিয়েও কটাক্ষ। জনৈকের মতে, ‘আমার দেশের মানুষ খাবারের অভাবে আর্তনাদ করছে। আর আপনারা এক জনের জন্মদিনে ৬/৭ টা কেক কাটছেন?’ কারও কৌতুক, ‘জন্মদিনের উদযাপনে পরীমণি কই?’