সংক্ষিপ্ত

বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুর্নিবার। এবার মোহর ও দুর্নিবারের পাশে দাঁড়ালেন নেটপাড়ার একাংশ। তারাই সমালোচকদের পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন।

টলিপাড়ার গায়ক দুর্নিবার সাহাকে নিয়ে চর্চা যেন থামছেই না। ঠিক দুই বছর আগের ফাল্গুনে মিউজিক্যাল জুটি দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রিলেশনশিপে ছিলেন তারা। ২০১৭ সালে আইনি বিয়ে সেরে নিয়েছিলেন দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তারপর প্রায় ৪ বছর বাদে ২১ ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েন টলিপাড়ার হট-হ্যাপেনিং কাপল দুর্নিবার ও মীনাক্ষি। বাঙালি নিয়ম-রীতি মেনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় । যদিও সেই বিয়ে টিকল না। ঘটা করে বিয়ে করার পর ২০২২ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুর্নিবার ও মীনাক্ষীর। বছর ঘুরতে না ঘুরতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন দুর্নিবার সাহা। ব্যস তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ট্রোলিং। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুর্নিবার।

জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন দুর্নিবার সাহা।গত ৯ মার্চ ঘটা করে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। মধ্য কলকাতার হোটেলে বসেছিল চাঁদের হাট। দুর্নিবারের বিয়ে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে বিয়ের আগেও প্রেম নিয়ে শিরোনামে থাকতেন তিনি। তবে সমস্ত বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টলি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ম্যানেজার ঐন্দ্রিলা সেনকে বিয়ে করলেন দুর্নিবার সাহা। তবে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে না করতেই চরম কটাক্ষের শিকার হলেন দুর্নিবার সাহা। মোহরের সঙ্গে বিয়ের ছবির কমেন্টে মীনাক্ষীর ছবি শেয়ার করেছিলেন নেটিজেনরা। তবে বিয়ের পরপরই বেশ কড়া জবাবও দিয়েছিলেন গায়ক এবং তার স্ত্রী। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি, ট্রোলিং চালিয়ে গেছেন অনেকেই। এবার মোহর ও দুর্নিবারের পাশে দাঁড়ালেন নেটপাড়ার একাংশ। তারাই সমালোচকদের পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন।

 

 

দেবদীপ চক্রবর্তী দুর্নিবার ও মোহরের রোম্যান্টিক ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন-না, কিছু লিখতাম না, বাধ্য হলাম মানুষ এর রুচি দেখে, এত্ত সমস্যা মানুষের দুর্নিবার দার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে, দুটো মানুষ যদি ভালো থাকে তাতে কার কি সমস্যা সেটাই বুঝছি না। কার দোষ ছিলো কার ভুল সেসব বিচার বাইরে থেকে না করাই ভালো নয়কি? কিছু কিছু তো এমন মানুষও কমেন্ট করছে যাকে দেখি নিজে মাসে মাসে বয়ফ্রেন্ড পাল্টায়। কিছু পাবলিক আমায় ম্যাসেজ করে বলছে কিরে এইবারের ওয়েডিং প্রজেক্টটা তোকে দিলো না, ছিঃ। সব থেকে ভালো লাগলো এতো নেগেটিভিটি এর মাঝে এদের পজিটিভ পোস্ট। ভালো থেকো দুর্নিবার সাহা দাদা এবং মোহর দিদি। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন-জীবনে এই প্রথমবার কাউকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে দেখলেন। ডিভোর্স শব্দটা প্রথমবার শুনলেন। আপনার জীবনে প্রথম ভালবাসা নেই। দুর্নিবার কেন দ্বিতীয় বিয়ে করল তা নিয়ে খাপ পঞ্চায়েত বসানো বন্ধ করুন। আপনি নিজেও কখনও ব্রেক আপের মধ্যে যাননি। আচ্ছা নিজের বন্ধুকেও কি কখনও মুভ অন করতে বলেননি, আসলে সব কিছু নিয়ে ট্রোল করা সম্ভব। কিন্তু কারোর ব্যক্তিগত স্পেসে ঢোকা অশিক্ষার লক্ষণ।

 

 

তবে যে যাই বলুক একে অপরের প্রেমে যে ডুব দিয়েছেন তা স্পষ্ট। ট্রোলিংকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবার বিয়ের অদেখা ছবি পোস্ট করলেন দুর্নিবারে স্ত্রী ঐন্দ্রিলা। বিয়ে থেকে সিঁদুরদান এবং বউভাতের অদেখা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মোহর। যার ক্যাপশনে ২০২২ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় গান রাইকমলের গানের কলি জুড়ে দিয়েছেন। দুর্নিবারের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে মোহর লিখলেন, 'তোমার চোখের আদিম নিলাম,দিলাম তোমায় রাইকমল, উড়ালসেতু ভুলিয়ে দিলো, একলা থাকা রাতমহল।'

 

 

দিনকয়েক আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন দুর্নিবার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গায়কের বাহুলগ্না তার স্ত্রী মোহর। বিয়ে সেরেই নতুন স্ত্রীকে ঠোঁটঠাসা চুম্বনে ভরিয়ে দিয়েছেন দুর্নিবার। শুধু তাই নয়, আদুরে ছবি পোস্ট করে দুর্নিবার লেখেন, যখন আমরা আমাদের সম্পর্ক আলোর রোশনাইয়ে সাজাব,তখন কিছু মানুষ অহেতুক তাদের বোকা বোকা মতামত দেওয়ার চেষ্টা করবে। মোহরকে বিয়ে করে মুহূর্তের মধ্যে যে সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সপাট জবাব দিয়েছেন দুর্নিবার। বিয়ের দিন খাঁটি বাঙালি সাজে দেখা গিয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। লাল বেনারসি, কপালে চন্দন, গা ভর্তি সোনার গয়না, মাথায় টিকলি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ঐন্দ্রিলা সেন। এবং লাল সুতোর কাজ করা সাদা পাঞ্জাবি, গলায় গোলাপের মালা পরে বরবেশে হাজির দুর্নিবার সাহা। সাত পাক ঘোরা থেকে শুভদৃষ্টি, সিঁদুর দান পুরো নিয়ম মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলা।