সংক্ষিপ্ত
বিয়ের পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন মোহর । ঐন্দ্রিলার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বউকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় উড়ে গেছেন দুর্নিবার। ট্রোলিংয়ের ভয়েই হানিমুনের ছবি পোস্ট করতে পারছেন না দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলা।
বছর ঘুরতে না ঘুরতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন দুর্নিবার সাহা। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন দুর্নিবার সাহা। গত ৯ মার্চ ঘটা করে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। মধ্য কলকাতার হোটেলে বসেছিল চাঁদের হাট। দুর্নিবারের বিয়ে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে বিয়ের আগেও প্রেম নিয়ে শিরোনামে থাকতেন তিনি। তবে সমস্ত বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টলি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ম্যানেজার ঐন্দ্রিলা সেনকে বিয়ে করলেন দুর্নিবার সাহা। তবে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে না করতেই চরম কটাক্ষের শিকার হলেন দুর্নিবার সাহা। কেউ বলছেন কেরিয়ারের স্বার্থে বিয়ে করেছেন তো কেউ আবার বলছেন বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের দ্বিতীয় বিয়ে।
দিনকয়েক আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দুর্নিবার। মধুচন্দ্রিমার প্ল্যানও ফাঁস করেছিলেন দুর্নিবার। জায়গার নাম না নিলেও বিদেশের মাটিতেই মধুচন্দ্রিমায় যেতে চান তারা সেকথা জানিয়েছিলেন। বার নয়া পোস্টে ফের শিরোনামে উঠে এলেন দুর্নিবার ও মোহর। বিয়ের পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে মোহর লেখেন- হানিমুনের ছবি চেয়েও পোস্ট করতে পারছি না। কেন জানেন?আপনাদের জন্য। পাত্তা দিচ্ছি ভাববেন না। নিজের এবং আপনজনদের শান্তিকে প্রাধান্য দিয়েছি এবং দেব, তাই। ঐন্দ্রিলার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বউকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় উড়ে গেছেন দুর্নিবার। কিন্তু ট্রোলিংয়ের ভয়েই হানিমুনের ছবি পোস্ট করতে পারছেন না দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলা।
টলিপাড়ার গায়ক দুর্নিবার সাহাকে নিয়ে চর্চা যেন থামছেই না। সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন টলিপাড়ার হট-হ্যাপেনিং কাপল দুর্নিবার ও মীনাক্ষি। বাঙালি নিয়ম-রীতি মেনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় । যদিও সেই বিয়ে টিকল না। ঘটা করে বিয়ে করার পর ২০২২ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুর্নিবার ও মীনাক্ষীর। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুর্নিবার। তবে দুর্নিবার বা ঐন্দ্রিলা কেউই থামবার পাত্র নন, দুজনেই নিজেদের মতো করে জবাব দিয়েছেন। মোহরের সঙ্গে বিয়ের ছবির কমেন্টে মীনাক্ষীর ছবি শেয়ার করেছিলেন নেটিজেনরা। তবে বিয়ের পরপরই বেশ কড়া জবাবও দিয়েছিলেন গায়ক এবং তার স্ত্রী। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি, ট্রোলিং চালিয়ে গেছেন অনেকেই। গায়ক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আমরা আর কী বলব, আমরা দুজনেই ভাল আছি। এটাই তো একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত। এর থেকে বেশি চাওয়ার আর কী থাকে। তবে আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই যে, আমরা সমাজের হেনস্তার শিকার। তা বলে দুর্বল আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা জানি যে এমন পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয়।যদিও এটা কোনও নতুন বিষয় নয়, প্রেম থেকে বিয়ে নিয়ে হামেশাই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে দুর্নিবারকে। তবে এই বিয়ের মধ্যমণি ছিলেন বুম্বা দা নিজেই। সকাল থেকে বিয়ের যাবতীয় খুটিনাটি খতিয়ে দেখেছেন টলি স্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় । শুধু তাই নয়, দাঁড়িয়ে থেকে নিজের ম্যানেজার মোহরের সঙ্গে দুর্নিবারের বিয়েও দিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ।