সংক্ষিপ্ত
"মদ খেতেন মহুয়া রায়চৌধুরী, আড়াই বছরের বাচ্চাকেও মদ্যপান করাতেন" রত্নাঘোষালের মন্তব্যে শোরগোল টলিউডে
মদ খেতেন মহুয়া রায় চৌধুরী! নিজের ২ বছরের শিশুকেও খাওয়াতেন, এমনই বিস্ফোরকদাবি করেছেন অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল।
আজও বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী হলেন দাদার কীর্তির সরস্বতী ওরফে মহুয়া রায়চোধুরী। ২২ জুলাই তাঁর মৃত্যু দিনে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তাঁর বন্ধু রত্না ঘোষাল।
এককালে মহুয়া দেবীর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন রত্না ঘোষাল। আজ ৩৯ বছর পরেও সেইসব স্মৃতী ভোলেনি রত্নী দেবী। তবে মহুয়াদেবীকে নিয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সাক্ষাৎকারে মহুয়াদেবীর সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী তাঁর মৃত বান্ধবী প্রসঙ্গে বলেছেন, রত্না দেবী নাকি অত্যন্ত মদ্যপান করতেন ও নিজের সন্তানকেও নাকি মদ খাওয়াতেন তিনি।
এদিন অভিনেত্রী জানান, “ মউ খুব মদ খেতে পছন্দ করত। আর ওর বাচ্চাটাকেও খাওয়াতো। গোলাও চুপচাপ বসে থাকতো। গুলুগুলু ছিল বলে ওর নাম ছিল গোলা। বাবা মা খাচ্ছে আর সেও চুপ করে বসে আছে। তখন ওর বয়স হবে দুই থেে আড়াই বছর। আমি বললাম বাচ্চাটাকে খাওয়াচ্চিস কেন ? মহুয়া বলত, কী মুশকিল! ওর বাবা, মা মদ খায়, আর ও খাবে না? গোলা নিজেও চুপটি করে বসে থাকত।ওর একটাই দোষ ছিল ও খুব মদ খেতো। খোলা মনের মানুষ ছিল ও। "
ব্যাস এরপর থেকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট মাধ্যমে। মৃত নায়িকার ব্যাপারে কীভাবে এমন মন্তব্য করলেন রত্না দেবী তা নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই বিষয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন পরিচালক রানা সরকার।
খুব তাড়াতাড়ি মহুয়াদেবীকে নিয়ে একটি ছবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই পরিচালক । তাতে রত্না ঘোষালের সাহায্য নেওয়ারও কথা ছিল। পরিচালক জানান, " রত্নাদি ছবির জন্য সাহায্য করবেন বলেছিলেন। নিগেটিভ কিছু থাকলে উনি এর মধ্যে থাকবেন না এমনও জানিয়েছিলেন রত্না দি। এখন তো দেখছি উনি নিজেই নিগেটিভ মন্তব্য করছেন। এই ছবির সঙ্গে এখন আর রত্না দি-র কোনও সম্পর্ক নেই।"