সংক্ষিপ্ত
মিমি বলেন, রোগা হওয়ার জন্য ইঞ্জেকশন দিয়েছি। পাগলের মতো ভুলভাট ডায়েট করেছি। কিছু কিছু সময় না খেয়েও থেকেছি।এমনকী নিজের ছবি দেখে নিজেরই পছন্দ হতো না। কত মানুষ আমায় কালো বলত, মোট বলত। তবে দিনের শেষে এসব কিছুর গুরুত্ব থাকে না।
একধারে অভিনেত্রী, অন্যদিকে সাংসদ, টলিপাড়ার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী সমান তালে সবটা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফিগার হোক কিংবা ফোটোশ্যুট টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছেন। তাদের স্টাইল স্টেটমেন্টে হার মানছে বলি সুন্দরীরাও। সেই তালিকায় সবার প্রথমেই রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। বরাবরই ব্যক্তিগত জিনিস ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন মিমি চক্রবর্তী। কেউ বলেছেন তাকে মোটা, কেউ বলেন ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার তিনি যোগ্য নন। কেউ আবার বলেন কোনও এক্স ফ্যাক্টরই তার নাকি নেই। এবার সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন মিমি।
তারকারা ছবিতে পোস্ট করতেই কমেন্টের বন্যা ভরে যায়। ইতিবাচকের থেকে নেতিবাচক মন্তব্য বেশি দেখা যায়। এবার সব কটাক্ষের জবাব দিলেন মিমি চক্রবর্তী। নায়িকার হওয়ার জন্য কী কী কসরত করতে হয়েছে, সেই জার্নির কথাই জানালেন নায়িকা। কমলা রঙের পোশাক পরে একটি ছবি পোস্ট করেছেন মিমি, যেখানে লেখা, এই চেহারার জন্য আমি যে কী কী করেছি, তা বোঝাতে পারব না। রোগা হওয়ার জন্য ইঞ্জেকশন দিয়েছি। পাগলের মতো ভুলভাট ডায়েট করেছি। কিছু কিছু সময় না খেয়েও থেকেছি।এমনকী নিজের ছবি দেখে নিজেরই পছন্দ হতো না। কত মানুষ আমায় কালো বলত, মোট বলত। তবে দিনের শেষে এসব কিছুর গুরুত্ব থাকে না। তিনি লেখেন- আমরা সবাই মানুষ। নিঁখুত হওয়া সম্ভব নয়। যেমন মুখে ব্রণ হলেও আমি তা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছি। তাই কোনও ফিল্টার ছাড়াই এই ছবিগুলো পোস্ট করছি।
মিমি আরও জানালেন, তিনি কোনও ছবির জন্যই এখন আর খুব বেশি এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করেন না। নিজের শরীরকে গ্রহণ করতে এবং ভালবাসতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। সকলের উদ্দেশ্যে মিমি বলেন, কারও হাসিমুখের ছবির সঙ্গে বাস্তবের মিল না ও থাকতে পারে। ছবিতে যারা কটু কথা বলেন, তারা জানেনও না মানুষটা বাস্তবে ঠিক কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে ভালবাসা ও ভাল রাখা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য উচিত। মাঝেমধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন টলিপাড়ার নায়িকা। তা নিয়ে ফ্যানেদের মধ্যে চর্চাও কম হয় না। এবারও তেমনটাই করলেন। তবে সমস্ত সমালোচনাকে তুড়ি মেড়ে তিনি নিজের মতোই থাকতেই পছন্দ করেন। টলিপাড়ার গন্ডি পার করে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন মিমি চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই 'পোস্ত' ছবির হিন্দি রিমেকে অভিনয় সেরে ফেলেছেন মিমি। আগের থেকে অনেক বেশি সাহসী মিমি। পর্দায় রোম্যান্স থেকে লিপলকে আপত্তি নেই সাংসদ নায়িকার। বলিউডে পাড়ি দিয়ে যেন অনেক বেশি সাহসী হয়ে উঠেছেন মিমি চক্রবর্তী। তবে বলিউডে অভিনয় করলেও নিজের কাজের জায়গা টলিগঞ্জের কথা বারবার মনে করালেন মিমি চক্রবর্তী। সূত্র থেকে জানা গেছে এক জাতীয় স্তরের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আলি ফজলের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন মিমি চক্রবর্তী।