সংক্ষিপ্ত

গল্ফ গ্রিনের সঞ্চারী দাস মল্লিকের বাড়িতে এখন সেলিব্রেশন চলছে। সঞ্চারির মা শুভা দাস মল্লিক ও সদন দাস মল্লিক নিজেদের অনুভূতির কথা প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।সত্যজিৎ রায়ের পর আমাদের মেয়ের নাম আসবে, এটা ভেবেই আরও ভাল লাগছে।

 

৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে ভারতের হয়ে প্রথম অস্কার পেয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স'। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা এবং পরিচালক কার্তিকি গানসালভেসের এই ছবি। তবে এই ছবিরই নেপথ্যে রয়েছে এক বাঙালি কন্যা, যিনি হলেন সঞ্চারী দাস মল্লিক। সঞ্চারী দাস মল্লিকের হাত ধরেই বাংলার অস্কার জয়। যা অত্যন্ত গর্বের। এই ছবির সম্পাদনা এবং এডিটিং করেছেন সঞ্চারী দাস মল্লিক। তবে সঞ্চারী দাস মল্লিক একা নন, অনেকে মিলে এডিট করেছে এই তথ্যচিত্রটি, এবং সেই তালিকায় রয়েছেন বাঙালি কন্যা। তার এই জয় সকলের জয়।

গল্ফ গ্রিনের সঞ্চারী দাস মল্লিকের বাড়িতে এখন সেলিব্রেশন চলছে। সঞ্চারির মা শুভা দাস মল্লিক ও সদন দাস মল্লিক নিজেদের অনুভূতির কথা প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তাদের কথায়, ‘অস্কার জেতাটা একটা বিশাল বড় ব্যাপার। আমরা ভাবতেই পারিনি যে সঞ্চারী যেই ছবির সঙ্গে যুক্ত, সেটি অস্কার পেতে পারে। ছবিটি যখন মনোনীত হয়, সেই খবরেই খুশি ছিলাম আমরা। এবং সেটিই আমাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। তারপর এই জয় আরও বড় পাওনা। সঞ্চারীর মা আরও জানিয়েছেন, মেয়ে অনেক আগেই লস অ্যাঞ্জেলসে চলে গিয়েছিল। প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল, জিতে যেতে পারেন। ঠিক মনের কথাই সত্যি হল’।

 

 

সঞ্চারীর মা জানান, ২০২১ সাল থেকে ছবিটির এডিটিং শুরু হয়েছে। তখন গোয়াতে ছিল সঞ্চারী। এটাই ওর প্রথম তথ্যচিত্র। যদিও এর আগে আমার বানানো তথ্যচিত্র ও এডিট করেছে। তাছাড়াও বিজ্ঞাপন ও পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবিও এডিট করতে দেখেছি ওকে। মেয়ে ভীষণই পরিশ্রমী। গত বছর নভেম্বরে কলকাতায় ফিরে বাবা ও মাকে বলেছিলেন-ছবির এডিটও খুব ভাল হয়েছে। 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' তথ্যচিত্রে ফাইনাল টাচ দিয়েছেন সঞ্চারীর সিনিয়র ডগলাস ব্লাশ। এবং নিউইয়র্ক ফেস্টিভ্যালে দেখানো হবে বলে জানিয়েছিলেন সঞ্চারী। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকেই স্নাতক সঞ্চারি । সঞ্চারির মা সুভা দাস মল্লিকও একজন প্রখ্যাত তথ্যচিত্র নির্মাতা। এবং তিনিও সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তিনি মাস কমিউনিকেশন পড়িয়েছিলেন। সঞ্চারীর দাদুও ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটির একজন প্রতিষ্ঠাতা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের। গল্ফ গ্রিনের চলচ্চিত্র পরিবারের মেয়ে এই জয় সকলের জয়, বাংলার জয়। সঞ্চারীর মা আরও বলেন-'সত্যিজিৎ রায়ের পর বাংলা আবার অস্কার পেল। যদি মেয়ে শুধু এডিট করেছে তারপরও সত্যজিৎ রায়ের পর আমাদের মেয়ের নাম আসবে, এটা ভেবেই আরও ভাল লাগছে'।