বাড়ি ফেরানো হল না ঐন্দ্রিলাকে। রবিবাসরীর দুপুরেই মিলল দুঃসংবাদ। দুপুর ১২.৫৯ নাগাদ সবার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ।
ঐন্দ্রিলার মুখাগ্নি করলেন বাবা উত্তম শর্মা ও বন্ধু সব্যসাচী। গোটা ঘটনায় একেবারে স্থবির সব্যসাচী। পাথরের মত করে গেলেন যাবতীয় কর্তব্য। বিগত ১৯ দিনের মত শেষ যাত্রাতেও ঐন্দ্রিলার ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি।
হাসপাতালে ভর্তী হওয়ার আগে পর্যন্তও সব্যসাচীকে জরিয়েই ছিল অভিনেত্রীর জীবন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ সব্যসাচীর জন্মদিনের দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্ট করেছিলেন তিনি।
এশিয়ানেট নিউজ বাংলা-য় শেষ মুখোমুখি ঐন্দ্রিলা শর্মা। দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে ঝকঝকে ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলা শর্মা মানেই জীবনী শক্তিতে ভরপুর। দুর্গাপুজো নিয়ে নিজের মনের কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন কিভাবে দুর্গাপুজো উপভোগ করবেন।
তৃতীয় বার ক্যান্সারে আক্রান্ত ঐন্দ্রিলা। এ বার ক্যান্সার ওর মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর কত লড়বে? তবু ‘ব্রেন ডেথ’ হওয়ার পরেও মেয়েটা ফিরে এসেছিল।
১ নভেম্বর প্রথম স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। প্রথম থেকেই সংকটজনক ছিল অভিনেত্রীর অবস্থা। জানা যায় মাথার বাঁ দিকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়েছে অভিনেত্রীর। ফলত জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রপচারও করতে হয়।
অনির্বাণ বললেন, ‘মাত্র একটা কাজ। এক সঙ্গে বেশি ক্ষণ সময়ও কাটাইনি। তার মধ্যেই আশ্চর্য মায়ায় বেঁধে গেল মেয়েটা!’
টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৪ বছরের তরুণীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। শোক প্রকাশ করেছেন ইন্ডাস্ট্রির তাবর তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ বছরের মেয়ে ঐন্দ্রিলার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৫টায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। সন্ধে ৬টায় সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।