সংক্ষিপ্ত

শ্রীজাতর প্রথম ছবি মানবজমিন-এ প্রিয়ঙ্কা ও পরমব্রতর জুটি সকলেরই নজর কেড়েছে। পরিচালক হিসেবে মানবজমিন-এর ছবি নিয়ে শ্রীজাতর দাবি, এটি মোটেই কোনও অন্যধারার ছবি নয়, বরং একেবারেই সহজ ধারার ছবি মানবজমিন।

কবি শ্রীজাত প্রথম ছবি মানবজমিন শুরুতেই বাজিমাত করেছে। ৬ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে শ্রীজাতর প্রথম ছবি মানবজমিন। স্বভাবতই প্রথম ছবি নিয়ে উত্তেজনাটা একটু বেশিই ছিল। তবে তা যেন মান রেখেছে। ছবি নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই ছবি বানিয়েছেন কবি শ্রীজাত। পরিচালক হিসেবে মানবজমিন-এর ছবি নিয়ে শ্রীজাতর দাবি, এটি মোটেই কোনও অন্যধারার ছবি নয়, বরং একেবারেই সহজ ধারার ছবি মানবজমিন।

শ্রীজাতর প্রথম ছবি মানবজমিন-এ প্রিয়ঙ্কা ও পরমব্রতর জুটি সকলেরই নজর কেড়েছে। তবে বাংলা ছবির জুটি নিয়ে এখন বেশি আলোচনা হয় না । তবে এই ছবির আলোচনা প্রসঙ্গে অভিনেতা পরিচালক পরমব্রত বলেছেন, বাংলা ছবি এখনও বিষয় নির্ভর। এবং রাহুল-প্রিয়ঙ্কার চিরদিনই তুমি যে আমার ছবিতে যে জুটি তৈরি হয়েছিল তারপর সবধরনের মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারবে এমন প্রেমের ছবি দ্বিতীয়টা আর তৈরি হয়নি। ছবির ট্রেলার থেকে গান তো হিটই এবার ছবিই হিটের তকমা পেয়েছে। প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে পরমব্রত আরও জানিয়েছেন, শ্রীজাতদার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই আত্মিক যোগাযোগ রয়েইছে। তার প্রথম ছবি নিয়ে শুরু থেকেই একটা অন্যরকম ভাবনা ছিল আর মানবজমিন এমনই একটা ছবি যার সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ মিলেমিশে যেতে পারে। আরও জানা যায় কোভিডকালে শুটিংয়ের সময় চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে রীতিমতো ভয় কেঁপেছিলেন শ্রীজাত। কিন্তু নায়ক- নায়িকা সেটা খুবই স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলেন, তবে শ্রীজাত তা করতেন না বলেই জানিয়েছিলেন। কোভিড ছাড়াও নিজের প্রথম ছবিতে নায়ক-নায়িকাকে চুমু খাওয়ানোটাও একটা হাত-পা কেঁপে যাওয়ার মতোই ছিল।

 

View post on Instagram
 

 

কলম হাতে ধরেই পরিচালনা করে সকলের মন জিতে নিয়েছেন কবি শ্রীজাত। মানবজমিন আসলে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নমা। ব্যাঙ্কের কর্মী সংকেত ওরপে পরমব্রত ও তার প্রেমিকা কুহু ওরফে প্রিয়ঙ্কা দুজনে মিলে গরিব ছেলে-মেয়েদের জন্য একটা স্কুল তৈরি করতে চায়, সরকারি অনুদানে সেই জমিও পেয়েছে। তবে স্কুল তৈরির জন্য প্রচুর টাকার দরকার কিন্তু সেটা পেতে পেতেও হাতছাড়া হয়ে গেলে হতাশ হয় দুজনেই । তারপরই সংকেতের জ্যাঠা বরেনবাবু অর্থাৎ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্য দিয়েই আশার আলো দেখতে পায় তারা। ব্যবসা করেই প্রচুর অর্থ জমিয়ে তিনি এখন ধ্বনী। তবে তিনি আবার ইহকালে দাঁড়িয়ে পরকালের কথা ভাবেন। সংকেতের জ্যাঠা ছবি বিশ্বাসের এতটাই ভক্ত যে ঘরের দেওয়াল ঠাকুরের ছবির বদলে ছবি বিশ্বাসের ছবিকেই ধূপ-ধুনো দিয়ে পুজো করেন। স্বর্গে ঠাঁই পাবার জন্য রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের খাবার দান করলেও মানবজমিন স্কুলের জন্য অর্থ সাহায্য়ে তিনি মোটেই রাজি নন। কিন্তু কীভাবে এই জ্যাঠামশাইয়ের থেকে স্কুল বানানোর টাকা আদায় করবে সংকেত ও কুহু তাই মজার মোড়কে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন শ্রীজাত।

আরও পড়ুন-

সৃজিতের পাল্লায় পড়ে ‘স্বর্গের জমি’ কিনছেন পরান! অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে ফাঁস করলেন শ্রীজাত

Sreelekha -Srijato : 'তুমি তো আমার পায়েই শুয়ে থাকবে', শ্রীলেখার কথায় গ্যাঁড়াকলে শ্রীজাত

গুলজারের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটলেন শ্রীজাত, রাজার কবিতা স্টুডিও-তে আসছে 'গুলজারিশ'