সংক্ষিপ্ত

বিদীপ্তা বলেছেন, ‘আমারও প্রায় এই বয়েসী একটা মেয়ে আছে। তার জন্মদিনে আজ মন প্রাণ দিয়ে আমার এটুকুই প্রার্থনা, এই কঠিন লড়াই জিতে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক মেয়েটা।

সবার প্রার্থনার ফল ফলছে? সূত্রের খবর, অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মার। সোমবার সন্ধেয় সব্যসাচী চৌধুরীর ফেসবুক পোস্টে ভেঙে পড়েছেন সবাই। এত দিন সবার মনোবল ছিলেন তিনি। ছোট পর্দার সাধক বামদেব, ঐশ্বরিক শক্তির কাছে আত্মসমর্পণের কথা বলতেই শেষ আশাটুকুও যেন ফুরিয়েছে সবার। সব্যসাচীও যে কার্যত বিধ্বস্ত, তাঁর ফেসবুক পোস্ট সে কথাই বলেছে। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে প্রার্থনা। ঐন্দ্রিলা এক নিমেষে বিভেদ ঘুচিয়ে দিয়েছেন সাধারণ-অসাধারণের। তারকা থেকে জনতা, সবাই নিজের মতো করে ঈশ্বরের কাছে অভিনেত্রীর জীবনভিক্ষা চেয়েছেন। কাজের সূত্রে মঙ্গলবার ফের মুম্বইয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি প্রার্থনা করেছেন ঐন্দ্রিলার জন্য। সামাজিক পাতায় তাঁর বার্তা, ‘আসুন, আমরা সবাই ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করি। এবং তাঁর সব্যসাচীর জন্যও। দু’জনে মিলে কী লড়াইটাই না লড়ছে! ব্যক্তিগত ভাবে আমি আপনাদের কাউকেই চিনি না। কিন্তু আপনাদের এই নিরলস সংগ্রামের জন্য কুর্নিশ।’ আলাদা করে সব্যসাচীকেও প্রশংসায় ভরিয়েছেন অভিনেতা-প্রযোজক-পরিচালক। তাঁর লেখায়, ‘সব্যসাচী যে ভাবে আপনি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে আছেন, ওঁর সংগ্রামে আপনার যুদ্ধে… ভালবাসার প্রতি নতুন বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে।’

 

 

View post on Instagram
 

 

 

প্রার্থনার এখানেই শেষ নয়। বিক্রম চট্টোপাধ্যায় তাঁর সব শক্তি নায়িকাকে দিয়ে দিতে চেয়েছেন। তাঁর আশা, বিক্রমের শক্তিতে ভর দিয়ে ফের ডানা মেলবে ফিনিক্স পাখি। চোখ মেলবেন ঐন্দ্রিলা। ধীরে ধীরে উঠে বসবেন। আগের মতোই স্বাভাবিক হবেন। তার পর সব্যসাচীর বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে আল্তে আস্তে তাঁর হাত ধরে বাড়ি ফিরবেন দু’জনে, এক সঙ্গে।

 

 

ঐন্দ্রিলার বন্ধু মিশমি দাস। তিনিও আর তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। দুই বান্ধবীর তোলা কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক পাতায়। জানিয়েছেন, ‘আমি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ২-৩ বছরে দু’টো শোতে কাজ করেছি। যদিও আমাদের প্রায় প্রতি দিনই দেখা হত। আমরা হয়তো ততটাও পরস্পরের কাছাকাছি নই। কিন্তু আমাদের কাটানো মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর ছিল। তখন দেখা হলেই মনখুলে আড্ডা দিতাম। আমাদের প্রথম আলাপ শান্তিনিকেতনে। ওখানে নতুন ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক শ্যুট করতে গিয়েছিলাম। একটা ঘর ভাগাভাগি করে থাকতাম। পরের দিন ভোর সাড়ে চারটেয় ডাক পড়বে। এ দিকে আমরা সাড়ে তিনটে পর্যন্ত আড্ডা মেরেই কাটিয়েছি! তখনই বুঝেছিলাম, ওর মধ্যে উন্নতির প্রবল ইচ্ছে। অদম্য প্রাণশক্তি। আর ইতিবাচক মনোভাব। হারতে শেখেনি ঐন্দ্রিলা।’

 

 

পাশাপাশি বান্ধবীকেও বার্তা দিয়েছেন তিনি, 'যুদ্ধ চালিয়ে যা ঐন্দ্রিলা। আমি বিশ্বাস করি, তুই খুব তাড়াতাড়িই ফিরবি। তুই বরাবরের যোদ্ধা। গোটা বাংলা তোর পাশে। লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু তোর জন্য রাত জেগে প্রার্থনা করছেন! তোকে ফিরতেই হবে। এত মানুষের ভালবাসা বৃথা যাবে? তোর প্রাণখোলা হাসি সবাই দেখবেন বলে অপেক্ষা করছেন।’

 

 

মঙ্গলবার পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত-অভিনেতা বিদীপ্তা দাশগুপ্তর বড় মেয়ে মেঘলার জন্মদিন। অভিনেত্রীর দাবি, ঐন্দ্রিলাও তাঁর মেয়ের বয়সী। সেই মেয়েটি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এটা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমারও প্রায় এই বয়েসী একটা মেয়ে আছে। তার জন্মদিনে আজ মন প্রাণ দিয়ে আমার এটুকুই প্রার্থনা, এই কঠিন লড়াই জিতে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক মেয়েটা। ঐন্দ্রিলার মা-বাবা আর সব্যসাচীর পাশে থেকে শুধু প্রার্থনা করছি, ওদের এই কঠিন সময় কেটে যাক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।‘