সংক্ষিপ্ত

প্রেমের দৃশ্য স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন ঐন্দ্রিলা? বিশেষ করে যে সিরিজে সব্যসাচী চৌধুরীও অভিনয় করেছেন। পর্দার ‘অনির্বাণ’-এর দাবি, প্রেমের দৃশ্য প্রচণ্ড সাবলীল ছিলেন তাঁর নায়িকা।

সিরিজ ‘ভাগাড়’-এ ঐন্দ্রিলা শর্মা-প্রীতম দাস জুটি। পর্দায় তাঁরা নায়ক-নায়িকা ‘অনির্বাণ-বাবি’। মাত্র দু’দিনের কাজ। তাতেই ঐন্দ্রিলা মাতিয়ে দিয়েছিলেন, দাবি তাঁর পর্দার নায়কের। প্রীতমের কথায়, ‘আমি প্রচণ্ড লাজুক। কোনো জায়গায় গেলে চুপ করে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকি। আমার মতো ছেলেকে বিশ্বকর্মা পুজোয় নাচিয়ে ছেড়েছে। নিজেও নেচেছে। আমাকেও নাচিয়েছে সবার সঙ্গে! এত প্রাণবন্ত মানুষ খুব কম দেখেছি। ঐন্দ্রিলা কোথাও থাকা মানেই সেখানে সেই জায়গা জমজমাট।’ কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই সবার সঙ্গে আড্ডা। হাসিঠাট্টায় মেতে উঠতেন তিনি। আর সারা ক্ষণ প্রাণ খুলে হাসতেন। সিরিজের শ্যুটিংয়ে যোগ দেওয়ার অল্প আগে দ্বিতীয় বার ক্যান্সারকে হারিয়ে ফিরেছেন নায়িকা। খুব নিয়ম-নিষেধের মধ্যে থাকতেন ঐন্দ্রিলা? প্রশ্ন ছিল প্রীতমের কাছে।

 

View post on Instagram
 

 

 

অভিনেতার দাবি, ‘খুব অল্প সময় দেখেছি। কিন্তু আলাদা করে কোনও বিধিনিষেধ মানতে দেখেনি ওকে। সাধারণত, অসুস্থতার জন্য ছুটোছুটি করতে বারণ করা হয়। ঐন্দ্রিলা আমার সঙ্গে চুটিয়ে দৌড়োদৌড়ির দৃশ্য অভিনয় করেছে। একটা দৃশ্যই ছিল, যেখানে আমি দৌড়োব। ও আমার পিছনে ধাওয়া করবে। দৌড়ে এসে সার মুখে পাউডার মাখিয়ে দেবে। ওই দৃশ্যে দিব্যি অভিনয় করেছে। কোনও অসুবিধে হয়েছে বলে মনে হয়নি। এবং কখনও ওকে দেখে মনেও হয়নি, ও দু’বার ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকে ভুগে উঠেছে।’

 

View post on Instagram
 

 

প্রেমের দৃশ্য স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন ঐন্দ্রিলা? বিশেষ করে যে সিরিজে সব্যসাচী চৌধুরীও অভিনয় করেছেন। পর্দার ‘অনির্বাণ’-এর দাবি, প্রেমের দৃশ্য প্রচণ্ড সাবলীল ছিলেন তাঁর নায়িকা। যদিও চিত্রনাট্যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য প্রায় ছিলই না। যেটুকু রোম্যান্টিক দৃশ্য ছিল সেটা একটি গানে। সেই দৃশ্য প্রাণবন্ত করতে যতখানি পরিশ্রম করার দরকার ছিল ততটাই করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। এবং সব্যসাচী সেখানে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াননি, বক্তব্য প্রীতমের। তাঁর আরও দাবি, ‘১০ দিনের মধ্যে সিরিজের শ্যুট শেষ করতে হয়। সেখানে কারওর কাজ দেখার জন্য কেউ উপস্থিত থাকেন না। আমাদের শ্যুটিংয়েও তাই সব্যসাচীদা আসেননি। উনি আলাদা জায়গায় শ্যুট করতেন। আমাদের জন্য অন্য নির্দিষ্ট ঘর ছিল।’ সিরিজের প্রচারেও প্রীতমের সঙ্গে সমান তালে খেটেছিলেন ঐন্দ্রিলা। নিয়মিত নানা অনুষ্ঠানে যেতে হত। যাওয়ার আগে প্রীতমের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি। জেনে নিতেন, কোথায়, কী ভাবে প্রচার হবে? প্রচারকে আরও অভিনব করতে প্রীতমের ভাবনা কী?

আরও পড়ুন:

সন্তানতূল্য ২ সারমেয়কে সাগর জলে জীবন মন্ত্রের বীজ দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা, আজ তিনি নিজেই লড়াই করছেন

মুম্বই থেকে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা, সব্যসাচীকে কুর্নিশ পরমব্রতর, ‘আমার সব শক্তি তোমার’, বললেন বিক্রম

কাজ করতে পারছেন না! ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করেই দিন কাটছে অলিভিয়ার