সংক্ষিপ্ত

বনিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘাঁটতেই বনির নাম উঠে এসেছে।এই জল্পনার মধ্যেই বোমা ফাটালেন টলি প্রযোজক রানা সরকার।

টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে এই মুহূর্তে জোর জল্পনা চলছে।আপতত টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই তা শোনা যাচ্ছে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘাঁটতেই বনির নাম উঠে এসেছে। কুন্তলের সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। এই কারণে শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে বনিকে। বনিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জানা গিয়েছে, কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন বনি। এবং কুন্তলও তাই দাবি করেছেন। বনি জানিয়েছেন পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনতে কুন্তল তাকে সাহায্য করেছিল। সেই সূত্রেই টাকার লেনদেন হয়। এর বিনিময়ে একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন বনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অভিনেতা। এমনকী গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি দেওয়া নিয়ে খিল্লি চলছে জোরকদমে।

এই জল্পনার মধ্যেই বোমা ফাটালেন টলিপাড়ার প্রযোজক রানা সরকার। তিনি বনিকে নিয়ে সাফ বলেন, বনি যা করেছে বেশ করেছে। খানিকটা ব্যঙ্গ করেই তিনি লেখেন, বনি একজন পেশাদার অভিনেতা। তার কাছে কাজের সুযোগ এলে তা যা করা উচিত, তিনি ঠিক সেটাই করেছেন। আপনারা জানেন না, বনি একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন, তবে ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি শুনে এত কেন হতবাক হচ্ছেন। তবে এটা যে বনিকে কটাক্ষের সুরেই বলেছেন তা বুঝতে কারোর বাকি নেই।

সালটা ২০১৪। বরবাদ ছবি দিয়েই টলিউডে পা রেখেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে বনিকে । তবে সব ছবিই যে বক্স অফিসে হিট, তেমনটাও নয়। সম্ভবত সেই কারণেই বনির পারিশ্রমিক নিয়ে মন্তব্য করলেন রানা সরকার। গত ১০ মার্চ মুক্তি পেয়েছে বনির নতুন ছবি আর্চির গ্যালারি । সেদিনই ইডির অফিসে ডাক পড়ে অভিনেতার। তবে প্রযোজক রানা সকলকে জানিয়েছেন, সবাই যেন বনি নতুন ছবির পাশে থাকেন। এর মধ্যে যদি বেআইনি কিছু থাকে বনি নিশ্চয় আইনানুযায়ী নিজেকে সংশোধন করে নেবেন। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা প্রমাণ না হচ্ছে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েও কোনও লাভ হবে না । তদন্তকারী সংস্থা আইনের বাইরে কিছুই করতে পারে না, দেশের আইনে ভরসা রাখুন। তবে পোস্ট নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসির রোল উঠেছে। অনেকেই মানতে চাইছেন না, বনির মতো অভিনেতার ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি থাকা সম্ভব। কেউ আবার ব্যাঙ্গাত্মক সুরে লিখেছেন, বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াবে ইডি।