সংক্ষিপ্ত

প্রতি বছর হারে। তবু আর্জেন্তিনার অন্ধ ভক্ত। ওই দলের হয়েই গলা ফাটাই, জানালেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্বকাপ এলে বাঙালি কাজ ভোলে। বিনোদন দুনিয়ার তারকারাও অভিনয়ের ফাঁকে চোখ রাখেন মোবাইলে। আর্জেন্তিনা কি গোল শোধ করতে পারল? ব্রাজিল সেমসাইড দিয়ে খেলা শুরু করল! শেষ পর্যন্ত জিতবে তো? টেনশনে ভিতরে ভিতরে ঘাম জমে তাঁদেরও। যাঁদের শ্যুট থাকে তাঁরা বাধ্য স্টুডিয়োয় যেতে। যাঁদের সুযোগ রয়েছেন? তাঁরা বাড়ির বাইরে এক পা-ও বাড়ান না। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই ধরুন। সদ্য শেষ ধারাবাহিক ‘লালকুঠী’। সাময়িক বিরতি নিয়েছেন অভিনেতা। তার মধ্যেই বিশ্বকাপ ২০২২। এই সুযোগ কেউ ছাড়ে!

রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও কি এই দলে? কৌতূহল অনেকেরই। সেই কৌতূহল মেটাতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল ছোট পর্দার ‘বিক্রম’-এর সঙ্গে। সম্প্রতি ধারাবাহিক শেষ হয়েছে। অভিনেতা বিশ্রামের মেজাজে। ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে কথা উঠতেই এক নিঃশ্বাসে বললেন, ‘এ আর গুছিয়ে কী লিখব বা বলব! জন্মাবধি একটাই দলকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি। প্রত্যেকবার হারি। তার পরেও নির্লজ্জের মতো আর্জেন্তিনার হয়ে গলা ফাটিয়ে চেঁচাই। ছোট থেকে এত বড় গেলাম। স্বাভাবিক ভাবেই অনেক পুরনো স্বভাব, অভ্যেস বদলে গিয়েছে। ব্যতিক্রম এই একটি।’ নিজের কথা প্রমাণ করতে ফেসবুকে ছবিও দিয়েছেন। সেখানে তাঁর বুকজুড়ে শুধুই দিয়েগো মারাদোনা! রাহুলের ছবিতে কবি শ্রীজাত, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য জ্বলজ্বল করছে। শ্রীজাতর রসিকতা, ‘চরণ ধরিয়ে দিয়েগো (দিও গো-র পরিবর্তিত রূপ) আমারে!’ জয়জিৎ ব্রাজিলের সমর্থক। তাঁর মতে, ‘হা-পিত্যেশ করার এই পোজটা বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আবার দেখতে চাই।’

 

 

দলের খেলা থাকলে কী ভাবে সে দিন উদযাপন করেন সে কথাও সবিস্তার জানালেন। তাঁর কথায়, ‘দলকে পাগলের মতো ভালবাসি। আজকেও স্কুলের বন্ধুরা আসবে বাড়িতে। সবাই মিলে আর্জেন্তিনার টি শার্ট পরে খেলা দেখব। মাঠের উত্তেজনা এ ভাবেই ঘরে বসে যতটা গায়ে মেখে নেওয়া যায়।’ এই খেলা নিয়ে, দলের জেতা-হারা নিয়ে আবার কুসংস্কারেও ভোগেন রাহুল আর তাঁর বন্ধুরা! যেমন? ‘কিছু কুসংস্কার আমাদের নিজেদের মধ্যেও আছে। কিছু জনকে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে। কিছু জনকে দেওয়া হবে না। দল গোল করলে আমরা কী করি? বিশ্বাস করুন, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়’, দাবি রাহুলের।

এই কথার পরেই কৌতূহল আরও বেড়ে গিয়েছিল। কারওর বান্ধবী খেলা দেখার সময় থাকেন? যিনি থাকলে দল জেতে বা ভাল খেলে? সেই জায়গা থেকেই অভিনেতার বক্তব্য, ‘খেলা দেখা তাই নারীবর্জিত! কোনও মেয়েকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় না। কারণ, দল গোল করলে আমরা তাতে মেয়েদের থাকা সম্ভব নয়।’ ভারত এখনও ফুটবল বিশ্বকাপের শরিক নয়। এখনও ৩৫টি দেশের অন্যতম হয়ে উঠতে পারেনি। খারাপ লাগে না? অংশ নিলে কার হয়ে গলা ফাটাবেন তিনি? ফের স্পষ্ট কথায় রাহুল। তাঁর মতে, এটা চার বছর পরপর মনে হয়ে লাভ নেই। কারণ, এখনও দেশ ফুটবলে ততটাও অর্থ বিনিয়োগ করে না। কোন বিশ্বকাপ মাঠে গিয়ে দেখার খুব ইচ্ছে হয়েছিল বা আছে অভিনেতার? ২০২৩-এ ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আমেরিকায়। সে দেশে রাহুলের প্রচুর বন্ধু থাকেন। তাই তাঁর শখ, আগামী বছর মার্কিন মুলুকে গিয়ে মাঠে বসে খেলা দেখবেন।

আরও পড়ুন

‘মেয়ে’ কোলে নিয়ে খেলা দেখব, জানি আর্জেন্তিনাই জিতবে: দিব্যজ্যোতি দত্ত

সব্যর আফসোস, শকুনরা কবেই মেরে ফেলেছিল মিষ্টিকে, সেটাই সত্যি হল : সৌরভ

ক্যান্সার, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগের ত্রিফলা আক্রমণ! ক্লান্ত ঐন্দ্রিলা অবশেষে ‘ঘুমের দেশে’