সংক্ষিপ্ত

।সব্যসাচী নাকি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, শরীর খুব খারাপ এমন খবরে আচমকাই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। আর এই খবর বন্ধু সৌরভ দাসের কানে পৌঁছতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। তার আর দেরি না করে মধ্যরাতে ক্ষোভপ্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিনেতা সৌরভ দাস।

দেখতে দেখতে পাঁচদিন কেটে গেলে ঐন্দ্রিলা আর নেই। এইভাবে ছেড়ে যাওয়াটা মানতে পারছে না পরিবার। কোনওভাবেই ঐন্দ্রিলার মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তার মা- বাবা , দিদি, ও প্রেমিক সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলাকে হারানোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে চলে গেছেন সব্যসাচী চৌধুরী। তারপর থেকে নানা ধরনের গুজবে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সব্যসাচী নাকি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, শরীর খুব খারাপ এমন খবরে আচমকাই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। আর এই খবর বন্ধু সৌরভ দাসের কানে পৌঁছতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। তার আর দেরি না করে মধ্যরাতে ক্ষোভপ্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিনেতা সৌরভ দাস।

সৌরভ পোস্টে লিখেছেন, সব্যসাচী একদম সুস্থ আছে। সঙ্গে আছি আমি এবং থাকব। এর পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, যাঁরা ভুয়ো খবর রটাচ্ছেন তারাই অসুস্থ। এবং বাকিরা যেন এই গুজবে কান না দেন তারও অনুরোধ করেছেন সৌরভ। ঐন্দ্রিলার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি কেউই, তার মধ্যে এমন বিভ্রান্তিকর পোস্টে রীতিমতো রেগে আগুন হয়েছেন অভিনেতা। আসলে নেটদুনিয়া থেকে সব্যসাচীর সরে যাওয়ার পর থেকে এই ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এবং যা রটানো খুব সহজ বলে জানিয়েছেন সৌরভ দাস। এখানেই শেষে পোস্টের শেষ সতর্কবার্তাও দিয়েছেন অভিনেতা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সব্যসাচীকে নিয়ে ভুয়ো খবর রটানো হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি অনুরোধ করে সকলকে বলেছেন, দয়া করে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে এই মুহূর্তে শান্তিতে থাকতে দিন। সূত্রের খবর, আপাতত নিজের বাড়িতেই রয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। এবং তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। এবং নিয়মিত ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন অভিনেতা।

 

 

মাত্র ২৪-এ শেষ হয়ে গেল তরতাজা প্রাণ। তবে ঐন্দ্রিলা হারিয়ে যায়নি বরং তিনি রয়েছেন সকলের মাঝে। গত ২০ নভেম্বর টলিউডের একটা কালো দিন। দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। বয়স কম বলেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে সেই আশা পূরণ হল না চিকিৎসকদের। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের মতো চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ১ লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। তড়িঘড়ি করে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। ইন্ট্রা সেরিব্রাল হ্যামারেজ হয়েছিল ঐন্দ্রিলার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরআই করানো হয়। এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট-সকলের মুখেই এতদিন একটাই প্রার্থনা ছিল। এই ডাকে আর সাড়া দিলেন না ঐন্দ্রিলা । সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন জিয়নকাঠি নায়িকা ঐন্দ্রিলা শর্মা। দুবার ক্যান্সারকে জয় করেও এবার আর ঘরে ফেরা হল না ঐন্দ্রিলা শর্মার। দীর্ঘ ১৯ দিন ধরে লড়াই চালিয়েও আর শেষরক্ষা হল না। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডে।