সংক্ষিপ্ত
সদ্য সাত অভিনেত্রী তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া খারাপ অভিজ্ঞতার কথা জানান।
কর্মক্ষেত্রই যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে কীভাবে সম্ভব এগিয়ে চলা? এ প্রশ্ন উঠেছে বারে বারে। আরজি কর কাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মেয়েরা কতটা সমস্যায় আছেন এই রাজ্যে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে এল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাহিনি। সদ্য সাত অভিনেত্রী তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া খারাপ অভিজ্ঞতার কথা জানান।
আড্ডা মারার ছলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকে। এক অভিনেত্রী বলেন, ২০১৬ সালে কলকাতার এক প্রযোজক তাঁরা দেখা করতে বলে। বেশ কিছু নর্মাল কথাবার্তার পর তাঁর ওপর চড়াও হন সেই প্রযোজক। তিনি বলেন, অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। অড্ডা মারার অভিসন্ধির পিছনে এটা ছিল বুঝিনি। পরে সেই ব্যক্তি একবার ঘর ভর্তি লোকের সামনে তাঁকে বলেছিল, তোর সঙ্গে তো আমার সেক্স হয়নি, যদিও আমি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।
তেমনই কোনও পরিচালক নায়িকাকে একা দেখা করতে যদি বলে, আর সে যদি না যায় তাহলে বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে বিস্তর। এক অভিনেত্রী জানান তাঁকেও বারে বারে ফোন করে একজন পরিচালক দেখা করতে বলত কিন্তু তিনি কিছু না কিছু বলে কাটিয়ে দেন।
অডিশনে সিলেক্ট হওয়ার পর নায়িকাকে প্রযোজকের কাছে নিয়ে যেতে হয়। এমন ঘটনার কথা জানান এক অভিনেত্রী। তিনি বলেন, তিনি এক অডিশনে সিলেক্ট হন। তখন মিটিংয়ে একঘর লোকের সামনে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, দাঁড়াও ওকে তো একবার প্রোডিউসরের কাছে নিয়ে যেতে হব দেখানোর জন্য। তিনি বলেন, অডিশন, পারফরম্যান্স নয়, প্রোডিউসর তাঁকে দেখবে বলে তাঁকে যেতে হয়েছিল।
তেমনই কোনও নায়িকা কমপ্রোমাইজ করতে না চাইলে তাঁকে শুনতে হয়, তোমার আগে যারা এসেছে তারা কমপ্রোমাইজ করেছে, তুমি কোথাকার কে।
তেমনই এক নায়িকা জানান, কাজের জন্য ডেকে তাঁকে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ছবির রোল আছে বলে তাঁকে ডেকে বলা হয়, তুমি আমার জন্য কী করতে পারবে? অনেক রোগা হয়েছ, কোমরটা বেশ সরু, চলো আমরা বেড়াতে যাই। কিংবা বলেছে, আমার অফিসের পাশের রুমটা তো আছেই।
আবার এক অভিনেত্রী বলেন, আজকাল কাস্টিং ডিরেক্টররা ক্রাইটেরিয়া জানতে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ফর্ম পাঠান। সেখানে গায়ের রং, হেয়ার কালার, আই কালার, কোনও স্কিল আছে কি না সব লেখা থাকে। ২০২৩ সালে তাঁর কাছে এমনই একটি ফর্ম আসে যেখানে লেখা ছিল কমপ্রোমাইজ-র কমফর্টেবল কি না।
আরও এক অভিনেত্রী বলেন, অনেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে মেন্টালি, ফিজিক্যালি বা সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজের শিকার হয়েছেন। সেটা রাতে অশ্লীল মেসেজ থেকে শুরু করে যে কোনও এক্সটেন্ট-এ যেতে পারে। মেনে না নিলে কাজ পাবে না এই ভয়ও দেখানো হয়।