সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবে না পথ কুকুর। সেগুলির নির্দিষ্ট শেল্টারের প্রয়োজন। 

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবে না পথ কুকুর। সেগুলির নির্দিষ্ট শেল্টারের প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই পশুপ্রেমীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকেই গর্জে উঠেছেন। অনেকেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। জন আব্রাহাম থেকে জাহ্নবী কাপুর যেমন সরব হয়েছেন, তেমনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও মুখ খুলেছেন। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পিছিয়ে নেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রী পশুপ্রেমি হিসেবে পরিচিত। সমস্যা সমাধানে তিনি পথ বলেছেন।

স্বস্তিকা অন্তত একটি করে ইন্ডি প্রজাতির কুকুর দত্তক নেওয়ার অনুরোধ করেছেন দিল্লিবাসীকে। তিনি বলেছেন, 'পথে থাকা কুকুরদের দত্তক নিন। আমি নিজেও নেব। ওদের নিলে কিন্তু খুব খরচ হবে না আপনার। কিন্তু ভালবাসা সাহচর্য ততটাই দেবে। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ, এনজিও-তে গিয়ে একটা করে সারমেয় দত্তক নিন। আদালতের কাছে আবেদন জমা পড়েছে কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ। মানবধর্মের খাতিরে এতটুকু করুন। একটা বড় উদ্যোগে শামিল হোন।'

প্রাণী অধিকার কর্মী এবং বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী আশঙ্কা করেছেন যে এই নির্দেশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। "এটি কোনও কার্যকর আদেশ নয়, এটি কেবল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছে। সরকার কখনও কোনও সরকারি আশ্রয় তৈরি করেনি, সমস্ত আশ্রয়কেন্দ্র ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত হয়। ক্রোধের বশে এই রায় দেওয়া হয়েছে"। অভিনেতা জন দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি আশা করি আপনি একমত হবেন যে এগুলি 'বেওয়ারিশ' নয় বরং সম্প্রদায়গত কুকুর - অনেকের কাছে সম্মানিত এবং প্রিয়, এবং দিল্লিবাসীরাও তাদের নিজস্বভাবে সম্মানিত, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই অঞ্চলে মানুষের প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করে আসছে।'রাহুল গান্ধী এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বলেছেন, এই বেওয়ারিশ কুকুর সরিয়ে দেওয়ার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বিজ্ঞান সমর্থিত নীতি থেকে এক ধাপ পিছিয়ে দেবে। তিনি বলেছেন, এই নির্বোধরা কোনও সমস্যা নয় , যা মুছে ফেলা যাবে। থাকার জায়গা, জীবাণুমুক্তকরণ, টিকাকরণ জরুরি। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, পরিস্থিতি পরিচালনা করার জন্য মানবিক উপায় খুঁজে বার করা জরুরি। নিরিহপ্রাণীদের দেখাশুনা এ নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।