সংক্ষিপ্ত
টলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কবাডি কবাডি' ছবিতেও অভিনয় করছেন অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা।সোহনী জানিয়েছেন ছবির পুরো টাকা এখনও পর্যন্ত পাননি তিনি। শ্বেতাকে নিয়ে সোহিনী বলেন, ফ্লোরে সকলের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা ছিল শ্বেতার।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তবে এবার কুন্তল-শান্তনুর পর অয়নের ঘনিষ্ঠ আরও এক রহস্যময়ী নারীর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনুর বন্ধু অয়ন শীলকে গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আসেছ। এবারও সামনে এল এক মহিলার নাম, যিনি হলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। অয়নের এই বান্ধবীর একাধিক তথ্য ইডির নখদর্পনে। ইডি-র সূত্র থেকে জানা গেছে, অয়নের এই ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর অ্যাকাউন্টেও টাকার লেনদেন করা হয়েছে। মোট ২৫ কোটি টাকা তার অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে । তবে এই টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যায় নি। ইতিমধ্যেই সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে শ্বেতার গাড়ি ও ব্যাঙ্কের ডিটেইসও ইডি আধিকারিকদের হাতে রয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে, বাংলার বাইরে উত্তর-পূর্বে একাধিক রিসর্টও রয়েছে শ্বেতার নামে।
পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী থেকে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার, আবার সিনেমাতে অভিনয় থেকে লেখালিখি শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নিয়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে। সূত্রের খবর বান্ধবী শ্বেতাকেই টলিপাড়ায় অভিনয়ের জন্য মুঠো মুঠো টাকা ঢেলেছেন অয়ন শীল। অয়নের প্রযোজনায় বেশ কয়েকটি হিন্দি ও বাংলা শর্ট ফিল্মেও অভিনয় করেছেন শ্বেতা। টলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কবাডি কবাডি ছবিতেও অভিনয় করছেন শ্বেতা। এই ছবিতেই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে সোহিনী সরকারকে। ছবির প্রযোজকও অয়ন। তবে অভিনেত্রী সোহনী সরকার জানিয়েছেন এই ছবির পুরো টাকা এখনও পর্যন্ত পাননি তিনি। এবং শ্বেতাকে নিয়ে সোহিনী বলেন, ফ্লোরে সকলের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা ছিল শ্বেতার। তবে এবার আরও বেশি করে সাবধান হতে হবে।
ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন অয়ন শীল। এবং তিনিই আবার তার প্রযোজিত সিনেমার তারকাদের পারিশ্রমিক বকেয়া রেখেছিলেন। অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীও জানিয়েছেন, ফ্লোরে বেশ কয়েকবার দেখেছেন অয়নকে। এখনও বেশ কিছুটা পারিশ্রমিক বাকি রয়েছে। এমনকী বাকি টেকনিশিয়ানদের টাকাও বাকি রয়েছে। সব মিলিয়ে অর্পিতা-হৈমন্তী-সোমার পর এখন নতুন রহস্য়ময়ী হলেন শ্বেতা। কীভাবে অয়নের সঙ্গে পরিচয় হল শ্বেতার। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে অয়নের সঙ্গে পরিচয় শ্বেতার। দীর্ঘদিন ধরেই মডেলিং জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শ্বেতা। অয়ন শীলের স্ত্রীর মাধ্যমেই নাকি শ্বেতার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। এরপর অয়ন শীলের প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন শ্বেতা। জানা গিয়েছে, মডেলিংয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে চাকরি করেন শ্বেতা। অয়নের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি উদ্ধার করেছে ইডি, তাতে পৌরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মিলেছে, তেমনটাই দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই শ্বেতার নাম উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে কামারহাটি পৌরসভাতে যোগ দেন শ্বেতা। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়নের সঙ্গে শ্বেতার নাম জড়াতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।