সংক্ষিপ্ত

স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল টলিপাড়া। সমস্যা কাটিয়ে বুধবার থেকে বেশিরভাগ ফ্লোরেই শুরু হয়ে গেল শ্যুটিং। আর এই নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।

স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল টলিপাড়া। সমস্যা কাটিয়ে বুধবার থেকে বেশিরভাগ ফ্লোরেই শুরু হয়ে গেল শ্যুটিং। আর এই নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার ডিরেক্টর্স গিল্ডের কার্যকরী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা কর্মবিরতিতে যাবেন। ফলে, সোমবার থেকে টলিপাড়ায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায় লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন। বলা যেতে পারে, বেশিরভাগ পরিচালক রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের দাবি ছিল, যতদিন না পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বাংলা ভাষার সমস্ত ফ্লোরে কাজ বন্ধ থাকবে। হবে না কোনও শ্যুটিং।

আর এরপরই এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নবান্ন থেকে তিনি নির্দেশ দেন, “কাউকে ব্যান করা যাবে না।” আর এরপরই ধীরে ধীরে বুধবার থেকে ছন্দে ফিরতে শুরু করে টলিপাড়া। এই প্রসঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম অভিনেতা দেবদূত ঘোষের সঙ্গে।

অভিনেতা দেবদূত ঘোষ এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানালেন, “এটা খুব ডায়নামিক একটা ইন্ডাস্ট্রি। অনেক মানুষ এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জুড়ে আছেন। সবসময় প্রচারের আলোতে থাকে এই ইন্ডাস্ট্রি। অনেকে আসতে চায় এখানে। তাই কয়েকটা জিনিস ভীষণভাবে মাথায় রাখা দরকার। আমাদের দেশে এবং রাজ্যে ভয়ঙ্কর বেকার সমস্যা রয়েছে। তার চাপ টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির উপরেও ভয়ঙ্করভাবে পড়ছে।”

তাঁর কথায়, “আগে নিয়মিতভাবে আমাদের ভাবনা আদান প্রদানের একটা জায়গা ছিল। প্রতি মাসের দ্বিতীয় রবিবার আমরা সবাই বসতাম আলোচনায়। কিন্তু এখন আর সেইসব হয়না। তাই সেটা ফিরিয়ে আনা উচিৎ। আর সমস্ত পক্ষকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। অনেকগুলি গিল্ড একসঙ্গে কাজ করে। তাই এই বিষয়টা খুব জরুরি।”

দেবদূত ঘোষ এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে আরও বলেন, “টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিটা তো অনেক বড়। এখানে ৮০%-এর উপর ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। আর ওটিটি-তে ১০-১৫%। ফলে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বেরোলে সবকটি ইন্ডাস্ট্রিকেই একটা সঠিক পথে চালানো যেতে পারে। এই রিভিউ কমিটি যেটা তৈরি হয়েছে, তারা যদি সঠিকভাবে রিভিউ করতে চায় তাহলে তো তাদের প্রতিটা গিল্ডের লোকেদের সঙ্গেই কথা বলতে হবে। তখনই প্র্যাকটিক্যালি সমস্যার সমাধান হতে পারে।”

তিনি জানান, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। যারা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন, তারা সবাই কাজে ফিরে এসেছেন। কারণ, সামনে পুজো। ফলে, ব্যাঙ্কিং-এর বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। তাছাড়া বিপুল পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট-এর একটা বিষয়ও রয়েছে। নাহলে সেটা অন্য কোথাও চলে যাবে। তাই তারা কাজে ফিরে এসেছেন।

বাকি যেটুকু সমস্যা রয়েছে, সেগুলো একসঙ্গে বসে আলোচনা করে মেটানো জরুরি বলে তিনি মনে করছেন। সেইসঙ্গে, তাঁর বক্তব্য, “প্রযুক্তিরও অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই সেগুলি যারা ভালো বোঝেন, তাদের সঙ্গে সবাইকে বসে বিষয়গুলো বুঝতে হবে। অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তির উন্নতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ, এই দুইয়ের মেলবন্ধন জরুরি বলেই আমার মনে হয়। আমি ভীষণ আশাবাদী।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।