সংক্ষিপ্ত
একসময় বাংলা সঙ্গীত জগতে 'বিনয়' নামে পরিচিত ছিলেন রূপঙ্কর। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একাধিকবার তাঁর ভয়ঙ্কর উদ্ধত রূপ দেখা গিয়েছে। বিতর্কেও জড়িয়েছেন এই সঙ্গীতশিল্পী।
কেকে-র ঘটনা থেকেও কি শিক্ষা নেননি রূপঙ্কর বাগচি? না কি উদ্ধত আচরণই তাঁর আসল রূপ? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও ঘিরে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই সঙ্গীতশিল্পী ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ীর আচরণ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। পোস্ট অফিসে একটি কাজে গিয়ে অন্যায় সুবিধা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই অন্যায় দাবি না মানায় পোস্ট অফিসের কর্মীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগও উঠেছে রূপঙ্করের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে পোস্ট অফিসে বিভিন্ন কাজে যাওয়া ব্যক্তিদেরও অপমান করার অভিযোগ উঠেছে এই সঙ্গীতশিল্পীর বিরুদ্ধে।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিস্ফোরক অভিযোগ
ফেসবুকে দেবারতি দেবী নামে একটি অ্যাকাউন্টে ৯ মার্চ রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রীর ভিডিও শেয়ার করে লেখা হয়েছে, 'পেশায় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী মহাশয় আজ সস্ত্রীক আমাদের পোস্ট অফিসে আসেন আধারের কাজ করাতে। প্রথমে সাড়ে বারোটা নাগাদ জনৈক চৈতালি লাহিড়ী (পরে বোঝা গেল উনি রূপঙ্কর বাবুর স্ত্রী ) এসে আধার নথিভুক্তিকরণের জন্য থাকা কর্মীকে বলেন উনি রাজ্য সরকারের মহিলা সুরক্ষা দপ্তর থেকে আসছেন, ওনাকে "তক্ষুনি" করে দিতে হবে। প্রত্যুত্তরে আধার কর্মী বলেন, তিনি করে দেবেন কিন্তু আগে যারা সেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের করে তারপর.. প্রতিদিন আমাদের অফিসের সদর দরজা সকাল দশটায় খোলা মাত্র দেখি প্রচুর লোক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন... এই লাইনের জন্য তারা স্বভাবতই দশটার আরো আগে থেকেই দাঁড়ান। এই অবস্থায় কোনোমতেই একজন শিল্পীকে সেই সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে টপকিয়ে আগে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব নয়, অন্তত নীতিগত ভাবে তো নয়ই.. এটা বুঝিয়ে বলার পরেও তিনি রীতিমতো "পাওয়ারফুল শিল্পীপত্নী" সুলভ আচরণ করেন এবং নিজেই স্বঘোষিত ভাবে বলেন যে উনি দুপুর দেড়টার সময় ফের আসবেন। দেড়টার বদলে ওনাদের কাজ ১:৩৫ এ শুরু হয়, তাতেই রূপঙ্কর বাবুর শৈল্পিক সত্ত্বায় আঘাত লাগে। ওনার স্ত্রী চৈতালি দেবীর বক্তব্য অনুযায়ী "মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে"... অর্থাৎ ওনারা দামী মুড়কি আর সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলি সস্তার মুড়ি। ইতিমধ্যে আমরা অর্থাৎ উক্ত ডাকঘরে থাকা কর্মীরা ছুটে যাই, ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করি.. বলি যে আপনারা দরকার পড়লে আলাদা ভাবে বলতেন, আমরা এনাদের করে শেষ বেলার দিকে আপনাদের সময় করে দিতাম, ইত্যাদি.. কিন্তু অহঙ্কারবশত বাগচিবাবু ভুলে যান যে উনি একজন কর্তব্যরত সরকারী কর্মচারীর সাথে কী ব্যবহার করছেন, তাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে বলেন "F_u*c@k you".. তারপর আমরা সকল কর্মী এবং সেখানে উপস্থিত কিছু কাস্টমারেরা সম্মিলিত ভাবে জোর গলায় ওনার "unparliamentary" শব্দবন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বাগচিপত্নী স্বামীকে বগলদাবা করে পিছু হটতে বাধ্য হন… আমার একটাই কথা এই গায়ক মহাশয় এতোটা স্পর্ধা পান কোথা থেকে? আমাদের অনেক ব্যস্ত কাস্টমারেরা থাকেন যারা অনলাইন slot booking করে আধারের কাজ করিয়ে থাকেন.. কিন্তু সেই বলে আমি মহিলা দপ্তরের কর্মী, আমি দেরী করে আসবো আর যাদের আগে হওয়ার কথা তারা মুড়ি বলে আমি মুড়কি,, ইয়ে মানে গায়ক / গায়কপত্নী হয়ে সুবিধা নিয়ে চলে যাবো, এটা ভাবেন কোন আক্কেলে?? (প্রথমে গালাগালি দিলে আমি বাধ্য হয়ে ভিডিও করতে শুরু করি, তাই ওনার অসভ্যতার সম্পূর্ণটি এই ক্যামেরা বন্দী করতে পারিনি)।'
বারবার কেন বিতর্কে রূপঙ্কর?
রূপঙ্কর কেন বারবার উদ্ধত আচরণ করছেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই সঙ্গীতশিল্পী কি ভুল থেকে শিক্ষা নিতে নারাজ? বিতর্ক তাঁর সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এর জন্য তাঁকে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
এত বছর বউদের সঙ্গে পথ চলার সিক্রেট কী! রচনার দিদি নং ওয়ানে রহস্য ফাঁস করলেন রূপঙ্কর - জয়জিত
অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ রূপঙ্কর বাগচীর, দিলেন কটুক্তির জবাব
‘রূপঙ্কর আগেও ঠিক ছিল,এখনো ঠিক আছে’, অবশেষে ‘কেকে বিতর্কে’ মুখ খুললেন রূপঙ্কর