সংক্ষিপ্ত

নব্বইয়ের দশকের বলি নায়িকা নাগমাও এবার জালিয়াতির শিকার। কেওয়াইসির ফ্রডের কবলে পরে প্রচুর টাকা খোয়ালেন বলি নায়িকা। জানা গিয়েছেন একটা মাত্র ক্লিকেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে উড়ে গিয়েছ ১ লক্ষ টাকারও বেশি।

ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন প্রতারণা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অনলাইনের মধ্যেই ফাঁদ পেতে রেখেছে প্রতারকরা। প্রত্যেকেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন, কিন্তু স্মার্ট ফোনের বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। যে কোনও মোবাইলে আনভেরিফায়েড অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল। এই ধরনের অ্যাপের মাধ্যমেই প্রতারকরা ফাঁদ পেতে বসে রয়েছে। আর অনেকেই অজান্তেই সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ এর শিকার। এবার তেমনটাই ঘটল বলিউড অভিনেত্রী নাগমার সঙ্গে।

নব্বইয়ের দশকের বলি নায়িকা নাগমাও এবার জালিয়াতির শিকার। কেওয়াইসির ফ্রডের কবলে পরে প্রচুর টাকা খোয়ালেন বলি নায়িকা। জানা গিয়েছেন একটা মাত্র ক্লিকেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে উড়ে গিয়েছ ১ লক্ষ টাকারও বেশি। কীভাবে এই জালিয়াতির শিকার হলেন নায়িকা, তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,গত মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১ লক্ষ টাকারও বেশি খুইয়েছেন নাগমা। জানা যায় অভিনেত্রীর মোবাইলে একটি মেসেজে আসে এবং সেই ম্যাসেজের মধ্যেই ছিল লিঙ্ক। ওই লিঙ্কে ক্লিক করতেই নাগমা একটি ভুঁয়ো কল পান। সেই ব্যক্তি নাগমাকে বলেন,ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সঙ্গে কেওয়াইসি আপডেট করতে আপনার সহযোগিতা চাই। তারপরেই ফোনটা সবটাই চলে যায় ওই ব্যক্তির হাতে।

নাগমা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে ওই ব্যক্তি বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন এবং তারপরই নাগমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় এই অর্থ। অভিনেত্রী নিজেও জানান, একের পর এক ওটিপির মেসেজ পাওয়ার পর বুঝতে পারি কম করে প্রায় ২০ বার চেষ্টার পর ওই টাকা সরাতে সফল হয়েছেন প্রতারক। তবে আরও চেয়ে বেশি টাকা খোয়াতে হয়নি, এটাই স্বস্তির। আরও জানা গিয়েছে, নাগমা একা নন বরং এই কেওয়াইসি ফ্রডের কবলে পড়েছেন প্রায় ৮০ জন। তারা সকলেই একই বেসরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহক। সুতরাং এই লিঙ্ক থেকেই উধাও হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। দিনকয়েক আগেই এই একইরকমভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা মেনন। আপাতত এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেল। মুম্বই সাইবার ক্রাইম সেল সকলকে এই ধরনের মেসেজের লিঙ্ক না খোলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অধীনে সাইবার ক্রাইম সেলের মতে, অনলাইন জালিয়াতির সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলি ব্যাঙ্ক, অনলাইন কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির সাথে সম্পর্কিত যেখানে প্রতারকরা, ব্যাঙ্কের আধিকারিক হিসাবে নিজেদের পরিচয় দেয়, এবং গ্রাহকদের ওটিপি, কেওয়াইসি আপডেট শেয়ার করতে রাজি করায় এবং কখনও কখনও বিভিন্ন লিঙ্কও পাঠায়। কিন্তু এই ধরনের লিঙ্কে কখনওই ক্লিক করা যাবে না তাহলে চোখের পলকে উধাও হয়ে যাবে আপনার সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা।