- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নাতনি নভ্যার শো-তে ফাঁস করলেন জয়া বচ্চন
বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, নাতনি নভ্যার শো-তে ফাঁস করলেন জয়া বচ্চন
- FB
- TW
- Linkdin
তাদের সম্পর্কের রসায়ন আর পাঁচটা সম্পর্কের মতোন নয়। দীর্ঘবছর ধরে একে অপরকে আগলে রেখেছেন এই তারকা জুটি। এককথায় বলতে গেলে বচ্চন পরিবার মানেই কন্ট্রোভার্সি। অমিতাভ বচ্চনের মেয়ে শ্বেতা বচ্চনও সিনেমার ধারেকাছে ঘেষেনি তবে শ্বেতার কন্যা নভ্যা নভেলি নন্দা প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসেন।
স্টারকিড হিসেবে খুবই পরিচিত শ্বেতা কন্যা নভ্যা। নভ্যাও অভিনয়ে আগ্রহী নন। বরং অল্প বয়সেই তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। একটি পডকাস্ট শো সঞ্চালনা করেন নভ্যা। হোয়াট দ্য হেল নভ্যা-র সাম্প্রতিক এপিসোডে হাজির হয়েছিলেন দিদিমা জয়া বচ্চন।
নভ্যার এই শো-তে এসেই অন্য মেজাজে ধরা দিলেন জয়া বচ্চন। সাম্প্রতিক কালের প্রেম নিয়ে জয়া যা বললেন তা শুনেই হতবাক হয়ে গেছেন নভ্যা। জয়া বচ্চন জানান সম্পর্কে শারীরিক ভাবে দূরে থার যার নাম লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ। সেই সম্পর্কে নিজের মত প্রকাশ করলেন জয়া এবং সম্পর্ক মজবুত রাখার টোটকা দিলেন।
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কথা শুনলেই অনেকেই চমকে ওঠেন। সেই চলতি ধ্যান-ধারণার সঙ্গে তিনি সহমত নন। বরং এর উল্টোটাই। তিনি জানান, একটা সম্পর্কে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ঠিক কোথায়। দূরত্ব মিটিয়ে পরস্পরের স্পর্শটাও অনেককিছু।
নভ্যার শো-তে দিদিমা ও নাতনির কথোপকথনে সকলেই হতবাক। বর্তমান সমাজ আধুনিক হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের। এই প্রজন্মের যুগলদের পক্ষ নিয়ে জয়া বলেন, এখনকার প্রজন্মের ছেলে মেয়েদর শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কুন্ঠা বোধ করার কোনও অবকাশ থাকা উচিত নয়।
জয়া আরও বলেন,সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি ঘনিষ্ঠ থাকাটাই স্বাভাবিক। ঘনিষ্ঠতা থাকলে সম্পর্ক ভাল হয়। অনেক অল্পবয়সী মেয়ে রয়েছেন যারা প্রাণ খুলে কথা বলতে সঙ্কচ বোধ করেন। কারণ সমাজ জোর করে অনেক ধারণা চাপিয়ে দেয়।
জয়া আরও বলেছেন, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। যদিও আমাদের সময়ে এই সমস্ত সুযোগ ছিল না। জয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন নয়তো সম্পর্ক টেকে না। একটা সম্পর্কে ভালবাসা এবং বোঝাপড়াটাই শেষ কথা নয়।
জয়া নাতনির সঙ্গে ভীষণ ভাল সম্পর্ক নভ্যার। তবে মা হিসেবে কেমন জয়া। মা জয়া সম্পূর্ণ অন্যরকম। জয়া প্রয়োজনে ছেলে -মেয়েদের মারধরও করতেন। খুব শক্ত হাতেই মেয়েদের মানুষ করেছেন অমিতাভ ঘরণী।
দিনকয়েক আগে প্রকাশ্যেই দিদিমার সঙ্গে ঋতুস্রাব নিয়ে আলোচনা করেছিলেন নভ্যা।জয়া বচ্চন জানান, সেইসময়টায় খুব অসুবিধা হতো। তিনি আরও বলেন, স্যানিটারি প্যাড বদলাতেও বেগ পেতে হতো সেই সময়কার অভিনেত্রীদের। কারণ তখন কোনও ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না। তাই শুটিং সেটে মহিলাদের কাজের কোনও সুবিধাই মিলত না। শুটিংয়ের মাঝে পিরিয়ড হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। আর যখন আউটডোর শ্যুট করতাম তখন আমাদের ভ্যানিটি ভ্যান থাকত না। কোনও ঝোপঝাড় কিংবা জঙ্গলের পিছনে গিয়ে স্যানিটারি প্যাড বদলাতে হতো। যা খুবই কষ্টজনক। এছাড়াও মেয়েদের জন্য টয়লেটের কোনও ব্যবস্থা থাকত না। মাঠে হোক কিংবা প্রকৃতির কোলে গিয়েই তোমাকে টয়লেট করতে হতো, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।