সংক্ষিপ্ত
কেরিয়ারের সময় পিরিয়ডের দিনগুলি কীভাবে কাটাতেন জয়া তা নিয়ে মুখ খুললেন বচ্চন ঘরনি।
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে নিয়েও সরগরম পেজ থ্রি-র পাতা। কন্ট্রোভার্সিতে বচ্চন যেন সর্বদাই এগিয়ে । বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের সম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সুখী দাম্পত্যে রয়েছেন ।তাদের সম্পর্কের রসায়ন আর পাঁচটা সম্পর্কের মতোন নয়। দীর্ঘবছর ধরে একে অপরকে আগলে রেখেছেন এই তারকা জুটি। এককথায় বলতে গেলে বচ্চন পরিবার মানেই কন্ট্রোভার্সি। অমিতাভ বচ্চনের মেয়ে শ্বেতা বচ্চনও সিনেমার ধারেকাছে ঘেষেনি তবে শ্বেতার কন্যা নভ্যা নভেলি নন্দা প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসেন। স্টারকিড হিসেবে খুবই পরিচিত শ্বেতা। নভ্যাও অভিনয়ে আগ্রহী নন। বরং অল্প বয়সেই তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।
একটি পডকাস্ট শো সঞ্চালনা করেন নভ্যা। হোয়াট দ্য হেল নভ্যা-র সাম্প্রতিক এপিসোডে হাজির হয়েছিলেন মা শ্বেতা বচ্চন ও দিদিমা জয়া বচ্চন। এই শো-তে পিরিয়ড ও জনন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন নভ্যা। দিনকয়েক আগে প্রকাশ্যেই দাদু অমিতাভের উপস্থিতিতে পিরিয়ডস নিয়ে কথা বলেছিলেন নভ্যা। এবার দিদিমার সঙ্গে ঋতুস্রাব নিয়ে আলোচনা করলেন নভ্যা। কেমন ছিল মা ও দিদিমা প্রথম মাসিকের অভিজ্ঞতা। মা শ্বেতা বচ্চন জানান, পুরোপুরি শুয়ে শুয়েই গোটা দিন কাটাতে চাইতামা। বেশি করে কার্বোহাইড্রেট, চকোলেট খেতাম। তবে কেরিয়ারের সময় পিরিয়ডের দিনগুলি কীভাবে কাটাতেন জয়া তা নিয়ে মুখ খুললেন বচ্চন ঘরনি।
জয়া বচ্চন জানান, সেইসময়টায় খুব অসুবিধা হতো। তিনি আরও বলেন, স্যানিটারি প্যাড বদলাতেও বেগ পেতে হতো সেই সময়কার অভিনেত্রীদের। কারণ তখন কোনও ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না। তাই শুটিং সেটে মহিলাদের কাজের কোনও সুবিধাই মিলত না। শুটিংয়ের মাঝে পিরিয়ড হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। আর যখন আউটডোর শ্যুট করতাম তখন আমাদের ভ্যানিটি ভ্যান থাকত না। কোনও ঝোপঝাড় কিংবা জঙ্গলের পিছনে গিয়ে স্যানিটারি প্যাড বদলাতে হতো। যা খুবই কষ্টজনক। এছাড়াও মেয়েদের জন্য টয়লেটের কোনও ব্যবস্থা থাকত না। মাঠে হোক কিংবা প্রকৃতির কোলে গিয়েই তোমাকে টয়লেট করতে হতো, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। জয়ার এই কথা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান নভ্যা। যদিও জয়া ক্ষমা চেয়ে বলেন, সত্যি কথাগুলো এভাবে বলার জন্য আমি দুঃখিত। আমরা প্লাস্টিক রাখতাম সঙ্গে করে। সেগুলি বাস্কেটে রেখে দিতে হতো, বাড়ি এসে তারপর ফেলতাম। এমনও দিন গেছে একসঙ্গে চারটে স্যানিটারি প্যাড নিয়েও কাজ করে গেছি। যদিও তখন প্যাড ছিল না। স্যানিটারি কাপড় ব্যবহার করতাম। যা আরও অস্বস্তিজনক ছিল। নভ্যাও নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন কারণ তিনি যেই বাড়িতে জন্মেছেন সেখানে পিরিয়ড নিয়ে কোনও ছুৎমার্গ নেই। সবকিছু নিয়ে নিশ্চিন্তে কথা বলতে পারেন শ্বেতা কন্যা নভ্যা।
আরও পড়ুন-
ছিঃছিঃ ! এই বয়সেও অমিতাভকে চরম সন্দেহ করেন জয়া বচ্চন, বিগ-বি-র কেচ্ছা জানলে শিউরে উঠবেন
ঐশ্বর্য পদ্মশ্রী পুরস্কার হাতে তুলতেই কী প্রতিক্রিয়া ছিল অমিতাভ-জয়া, জানালেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ
ছেলের ছবির প্রচারে মায়ের বিশেষ অবদান, সংসদে দশভির স্পেশাল স্ক্রিনিং করলেন জয়া বচ্চন