সংক্ষিপ্ত
মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরও সকলের থেকে বেশি আগলে রেখেছিলেন হবু শাশুড়িকে। মেয়ে সোহার থেকেও এত কেন বেশি আগলে রাখেন পূত্রবধূ করিনাকে, ফাঁস করলেন শর্মিলা।
পতৌদির নবাব পুত্র সইফ আলি খানের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই পুরো নবাব পরিবারকে ব্যালেন্স করে চলেছেন করিনা কাপুর খান। কেরিয়ারের সঙ্গে নিজের দাম্পত্য জীবন ব্যালেন্স করতেও এক্সপার্ট করিনা কাপুর। সইফ- সোহা নিজের সন্তান হলেও করিনাই নাকি তার নিজের সন্তান। সইফ-সোহা যা করতে পারেন না তাই করে দেখান করিনা। মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরও সকলের থেকে বেশি আগলে রেখেছিলেন হবু শাশুড়িকে। মেয়ে সোহার থেকেও এত কেন বেশি আগলে রাখেন পূত্রবধূ করিনাকে, ফাঁস করলেন শর্মিলা।
শাশুড়ি মা হিসেবে কেমন শর্মিলা ঠাকুর, কেমনই বা সম্পর্ক করিনার সঙ্গে, যা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শক।পতৌদির নবাবপুত্র সইফ আলি খানের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই পুরো নবাব পরিবারের সঙ্গে ব্যালেন্স করে চলেছেন করিনা কাপুর খান। কেরিয়ারের সঙ্গে নিজের দাম্পত্য জীবন ব্যালেন্স করতেও এক্সপার্ট করিনা কাপুর। সইফ- সোহা নিজের সন্তান হলেও করিনাই নাকি তার নিজের সন্তান। সইফ-সোহা যা করতে পারেন না তাই করে দেখান করিনা। মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরও সকলের থেকে বেশি আগলে রেখেছিলেন হবু শাশুড়িকে।শর্মিলা জানিয়েছেন, কাউকে কোনও মেসেজে করলে সবার আগে ঝটপট তার উত্তর দেন করিনা। মেসেজ করে কিছু জানতে চাইলে সইফ অনেকটা সময় নেন তার জবাব দিতে।
অন্যদিকে সোহা অর্ধেক সময় মেসেজ দেখতেই পায় না। আর দেখলেই অনেক সময় নিয়ে তার উত্তর দেন। কিন্তু করিনা তা দেখা মাত্রই উত্তর দেন।বউমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে শর্মিলা আরও জানান, মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরও নিজের ছেলে-মেয়েদের থেকে আগলে রেখেছিলেন করিনা।বিয়ের আগেও পতৌদি পরিবারের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন করিনা। ২০১১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মনসুর আলি খান। তখনই সইফের পুরো পরিবারকে আগলে রাখেন করিনা।২১ সেপ্টেম্বর করিনার জন্মদিনের একদিন পরেই প্রয়াত হন মনসুর আলি খান। সেই কঠিন সময়ে নিজের খেয়াল না রেখেই সকলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন করিনা। শর্মিলা আরও জানিয়েছেন, আমার অন্য সন্তানদের মতোই পুরো আগলে রেখেছিল করিনা। ও আমার সন্তান। প্রতিটা ধাপেই তিনি অনন্যা। পাঁচ বছরের সম্পর্কে ছিলেন করিনা-সইফ। তারপর ২০১২ সালে বিয়ে করেন বলিউডের হিট জুটি সইফিনা। শাশুড়ি, ননদ ছাড়াও সইফের প্রথমপক্ষের দুই সন্তান সারা এবং ইব্রাহিমকেও আগলে রাখেন করিনা। নিয়মিত সইফিনার বাড়িতেও যাতায়াত রয়েছেন তাদের। শর্মিলা ঠাকুর বুঝতে পেরেছিলেন, পতৌদি বংশের বধূ হলেও তার জীবন যাপন অনেকটাই আলাদা। তাই শাশুড়ি হয়েও পুত্রবধূকে করিনাকে বাঁধা দেননি শর্মিলা। বরং মেয়ের মতো তাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল।