সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার সকালে পাটুলি থেকে উদ্ধার হয় মঞ্জুষা নিয়োগী নামে আরও এক মডেল অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। প্রয়াত অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন এই মঞ্জুষা। শোনা যাচ্ছে বিদিশার আত্মহত্যার ঘটনা তাঁর উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। মৃত্যুর আগের দিন বিদিশার কাছে চলে যেতে পারেন বলে না কি হুমকি ও দিয়েছিলেন মঞ্জুষা।
পল্লবী- বিদিশার পর এবার সেই একইভাবে আত্মহত্যার পথ অনুসরণ করলেন আরও এক অভিনেত্রী। শুক্রবার পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টলি পাড়ার আর এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। একাধিক টেলি ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন এই মঞ্জুষা নিয়োগী। এক চিত্রগ্রাহককে বিয়ে করে যারপরনাই বেশ সুখীই ছিলেন মঞ্জুষা। বিয়ের ৬ মাসের উদযাপন ও করেছিলেন। তারপর কী এমন হল যে হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লেন মঞ্জুষা? ঠিক কী কারণে মানসিক অবসাদের স্বীকার হলেন মঞ্জুষা তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, বুধবার নাগেরবাজারের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে খুন নয় আত্মহত্যাই করেছেন বিদিশা। তবে মাত্র ২১ বছরের বিদিশার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কে বা কারা মদত দিয়েছে বর্তমানে সেই দিকটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিদিশা দে মজুমদারের খুব কাছের বান্ধবী ছিলেন মঞ্জুষা নিয়োগী। এদিন মঞ্জুষার পরিবার সূত্রে জানা গেছে যে, বিদিশার এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। এমন কি বৃহস্পতিবার সারাদিন না কি শুধু বিদিশার কথাই বলছিলেন মঞ্জুষা।
আরও পড়ুন- 'অনুভবকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না' বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুতে এবার বান্ধবীর চ্যাট ফাঁস
জানা গেছে মঞ্জুষার স্বামী পেশায় চিত্রগ্রাহক হলেও বিয়ের পর ও মঞ্জুষা এই ধরণের মডেলিং বা অভিনয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকুক তা পছন্দ ছিল না। তাই মঞ্জুষাকে এই পেশা থেকে না কি সরেও আসতে বলেছিলেন তাঁর স্বামী, যদিও মঞ্জুষা সে কথায় বিশেষ কর্ণপাত করেন নি। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার ও শ্যুটিংয়ের কাজে বেরিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। শ্যুটিং থেকে ফেরার পর মঞ্জুষার স্বামী তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু মঞ্জুষা তাতে রাজি হন নি। এই নিয়ে না কি দুজনের মধ্যে বচসার ও সৃষ্টি হয় এবং সেইসময়ই না কি স্বামীকে মঞ্জুষা জানান, 'তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোর করলে তিনি ও বিদিশার মত সিদ্ধান্ত নেবেন।'
উল্লেখ্য, শুধু বিদিশা নয় প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবী দে- র সঙ্গে ও পরিচয় ছিল মঞ্জুষার। পল্লবী দে- র মৃত্যুর পর না কি মা কে মঞ্জুষা বলেছিলেন পল্লবীর বাড়িতে সাংবাদিকরা এসেছেন তাঁর বাড়িতেও আসবে। বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিনয় পেশার সঙ্গে যুক্ত মঞ্জুষা। ২০২১ সালে 'পুলিশ ফাইলস'-এ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মঞ্জুষা যেখানে মানসিক চাপ সহ্য করা অসহায় এক গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেখানে চরিত্রটিকে অবশেষে আত্ম্যহত্যার পথ বেছে নিতে দেখা গেছিল, এবার মঞ্জুষার বাস্তব জীবনে ও ঘটল সেই একই ঘটনা। তবে সত্যিই কি ছিল কোনও মানসিক চাপ না কি এর পিছনে রয়েছে কোনও গভীর রহস্য? বর্তমানে গোটা বিষয়টাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।