সংক্ষিপ্ত
ঋষি অরবিন্দের সার্ধ শতবর্ষে মুক্তি পেয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘের ছবি। আর সেই ছবির পসরা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর স্ক্রিনিং করল বিদেশ মন্ত্রক। দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পূর্তির মুহূর্তে শ্রী অরবিন্দের মতো মহাত্মার জন্য এই উদ্যোগ স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসিত হচ্ছে।
১৫ অগাস্টের দিনই জন্ম হয়েছিল ঋষি অরবিন্দের। প্রথম জীবনে যিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ নামে। বিলেতেই বেড়ে-ওঠা, পড়াশোনা। কিন্তু, দেশে ফিরেই ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন অরবিন্দ ঘোষ। তাঁর পথ অনুসরণ করেছিলেন তাঁর ভাইরাও। কিন্তু আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেফতারির পর পুরোপুরি অধ্যাত্মিকতায় প্রবেশ করেছিলেন অরবিন্দ। পরবর্তী সময়ে তিনি পরিচিতি লাভ করেছিলেন ঋষি অরবিন্দ নামে। সেই অরবিন্দের এখন চলছে ১৫০ তম জন্মবর্ষ পালন। এই উপলক্ষে ১৫ অগাস্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দূতাবাসে ঋষি অরবিন্দের উপরে তৈরি হওয়া একটি স্বল্প দৈর্ঘের ছবির প্রদর্শন করল বিদেশ মন্ত্রক।
শ্রী অরবিন্দ- দ্য বিগিনিং অফ স্পিরিচুয়াল জার্নি- নামে এই স্বল্প দৈর্ঘের সিনেমাটির পরিচালক সুরজ কুমার। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত চৌহান। চিত্রনাট্য লিখেছেন মণীশকুমার প্রাণ। প্যারিসে থাকা ভারতীয় দূতাবাস থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া ইন ইউকে, সিজিআই বার্মিংহাম, সুইজারল্যান্ড, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ইউনেস্কোতে থাকা ইন্ডিয়ার পার্মানেন্ট ডেলিগেশন এবং বাহারিনে এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবিটির প্রদর্শন করা হয়।
শ্রী অরবিন্দ ঘোষের কারাজীবনের (১৯০৮-১৯০৯) উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে মূলত আলিপুর জেলে অরবিন্দের কারাবাসের সময়কালকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দেখানো হয়েছে কীভাবে সেই সময় কারাগারের ভিতরে অধ্যাত্মিকতায় নিজেকে নিমজ্জিত করছিলেন অরবিন্দ। কলকাতার আলিপুর জেলে ছবিটির শ্যুটিং হয়েছিল। যেখান থেকে তার আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। শ্রী অরবিন্দ ১৯০৮ সালের ৫ মে আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেফতার হন এবং আলিপুর জেলে পুরো এক বছর অতিবাহিত করেছিলেন। ১৯০৯ সালের ৬ মে তিনি মুক্তি পান।
শ্রী অরবিন্দের উপর তৈরি করা ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সূরজ কুমার জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তথা বন্দিদের নিয়ে কাজ করা ডক্টর ভার্তিকা নন্দা ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে অসাধারণ কিছু পর্যবেক্ষণকে সামনে নিয়ে এসেছিল। এই বিষয়গুলি নাকি তিনি সূরজকে জানিয়েছিলেন। এরপরই ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবিটি তৈরির কথা নাকি তাঁর সামনে আসে। এর জন্য একাধিকবার কলকাতায় এসেছিলেন সূরজ। কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে অরবিন্দের স্মৃতি বিজড়িত একাধিক স্থানেও তিনি ভ্রমণ করেছিলেন। আর প্রতিটি স্থান থেকেই ছবি তৈরির মূল্যবান কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। ‘শ্রী অরবিন্দ: দ্য বিগিনিং অফ স্পিরিচুয়াল জার্নি’ এক বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজেও প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন সূরজ। সূরজ তাঁর ছবি সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন যে, 'শ্রী অরবিন্দ ঘোষ যখন জেলে ছিলেন, তাঁর আধ্যাত্মিক রূপান্তর শুরু হয়েছিল জেল জীবনের মাত্র ২-৩ দিন পর। আমার শর্ট ফিল্ম 'শ্রী অরবিন্দ: দ্য বিগিনিং অফ স্পিরিচুয়াল জার্নি' আলিপুর জেলে তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরুর সময়টাকে নথিভুক্ত করেছে।'
আরও পড়ুন, সইফের জন্মদিনে একটি দারুন অমূল্য ছবি পোস্ট করলেন বেবো, কি সেই ছবি দেখে নিন
আরও পড়ুন, আপনিও হতে পারেন রণবীর সিং-এর বিলাসবহুল জাগুয়ারটির মালিক,কিভাবে? জেনে নিন