সংক্ষিপ্ত

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরি। দিলেন কিছু উপদেশও।

নার্গিস ফাকরি বলিউডের টিনসেল টাউনের অন্যতম প্রমিসিং অভিনেত্রী। রণবীর কাপুর অভিনীত রকস্টার ছবিতে প্রথমবার অসাধারণভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন নার্গিস। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে কীভাবে নেতিবাচকতা মোকাবিলা করতে হয় সে সম্পর্কে অনেক কিছু জানালেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'আমি ১৫ বছর বয়স থেকেই সেলফ হেল্প বই পড়তে ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি জীবন নিজের কাছেই ফিরে যাওয়ার যাত্রা। যেখানে নিজেদেরই ক্রমাগত ভাবতে হবে আমরা কে এবং কিভাবে আমরা আমাদের কাজ, আমাদের নিয়মিত জীবন এবং নিজেদের পরিবর্তন করছি, এবং বেড়ে উঠছি। আমি মনোবিজ্ঞান খুব ভালোবাসি এবং আমি সবসময়ই আরও ভালো মানুষ হতে চাই। আমি মানুষের সাথে আমার সম্পর্কের মাধ্যমে এটি উপলব্ধি করেছি যে প্রেমিক ,বন্ধু বা পরিবার যেই হোক না কেন, তারা আমার কিছু জিনিস প্রতিফলিত করে। যদি অন্যদের কোনো কিছু আমার পছন্দ না হয় আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, ' এটা কেন আমার পছন্দ হচ্ছে না?' আমি  খুব অন্তর্মুখী মানুষ। আমি সর্বদা ভাবি যে কীভাবে আমি আরও ভাল মানুষ হতে পারি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি যা যা করি এবং যা যা বলি তার সব দায় আমার নিজের। আমি কখনো নিজেকে দোষারোপ করিনা বা অন্যায়ের শিকার হতে দিই না। আমি বিশ্বাস করি আমার চিন্তার প্রক্রিয়ার দ্বারাই আমার সমগ্র জীবন বা পরিবেশ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমার আছে৷ তাই, আমার মতে প্রতিটা মানুষের তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। আপনি যদি নিজেকে নেতিবাচক কথা বলতে দেখতে পান আপনার উচিত নিজেকে চড় থাপ্পড়  দিয়ে মনে করানো যে এটি বলতে বা ভাবতে নেই। আমি মনে করি সময় এবং অনুশীলনের সাথে, আপনি আরও ভাল হয়ে উঠবেন। যখন আপনি অন্যদের সম্পর্কে নেতিবাচকতা অনুভব করেন তখন নিজেকে ভালোভাবে পরীক্ষা করুন কারণ এটি আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাহীনতা এবং নেতিবাচকতার প্রতিফলন।'

আরও পড়ুন:

সেরা অভিনেতার তকমা কৃতি শ্যানন, ভিকি কৌশল দের, এক নজরে আইফা ২০২২-এর বিজয়ী তালিকা

করোনা আক্রান্ত শাহরুখ খান, বাদশার আরোগ্য কামনায় টুইট মুখ্যমন্ত্রীর

'সবকিছু পজেটিভ চলছিল, তাই করোনারও সহ্য হল না'- দ্বিতীয় বার আক্রান্ত কার্তিক আরিয়ান
নার্গিস উপদেশ দিয়েছেন যে ধ্যান করা, বই পড়া, পডকাস্ট শোনা, ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং ভিডিও দেখা সত্যিই সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সচরাচর কথা বলিনা। এখনও অনেকে মনে করেন সাইকোলজিস্ট মানে পাগলের ডাক্তার। এই ভাবনা পাল্টানো দরকার। মানসিক স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেওয়া জরুরি।