সংক্ষিপ্ত
শীত পেরোতেই বসন্তের অপেক্ষায় থাকে গোটা বাংলা। আর সময়টাইয় মন কেমন করে ভোজন রসিক বাঙালির সজনে ফুলের জন্য। চলুন চেখে দেখা যাক।
শীত পেরোতেই বসন্তের অপেক্ষায় থাকে গোটা বাংলা। আর সময়টাইয় মন কেমন করে ভোজন রসিক বাঙালির সজনে ফুলের (Sajne Flower) জন্য। সজনের ডাটা তো আছেই, কিন্তু সজনে ফুল বাড়তি মাত্রা এনে দেয়। অনেকেই সুস্বাদু বড়া বানিয়ে খান। আর অজান্তের রোগজীবাণু থেকে মুক্তি পান। তবে সজনের ডাটার থেকে কম যায় না সজনে ফুল। স্বাদে এবং আভিজাত্যে। চলুন চেখে দেখা যাক।
বসন্ত আর গ্রীষ্ম ঢোকার এই ঋতু বদলের মাঝে ওষুধের মত কাজ করে সজনে গাছ। সজনে ফুল আর সজনে ডাটা খুবই উপকারি। গরম পড়তে শুরু করেছে। ডাঁটা হয়তো আরও কিছুদিন মিলবে। কিন্তু সজনে ফুল পাওয়া যাবে না। সজনে ফুল অনেকভাবেই খাওয়া যায়। অনেকেই এই সময় বসন্ত রোগ অর্থাৎ চিকেন পক্স এড়াতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ফুলের পদ তৈরি করেন। ব্যাসন গুলে ক্রিসপি বড়াও বানানো যায়। আবার অনেকেই পোস্ত সহযোগে এই সজনে ফুলে পদ বানান। তবে সজনে-সরষেটা অনেকেরই ফেবারিঠ। জানুন কীভাবে বানাবেন, রইল রেসিপি।সজনে ফুল ১০০ গ্রাম, কড়াইশুটি ১ কাপ, আলু দুটি, টমেটো ১টি, কাঁচালঙ্কা ৩টি, আদাবাটা হাফ চামচ।সর্ষে বাটা ১ চামচ। হলুদ গুড়ো আধ চা চামচ, সর্ষের তেল ৪ চা-চামচ, পাঁচ ফোঁড়ন আধ চা চামচ, সর্ষের তেল চার চামচ, পাঁচ ফোঁড়ন আধ চা চামচ, নুন ও চিনি স্বাদমতো।
প্রথমে সজনে ফুলগুলি ভালো করে ধুয়ে গরম জলে চুবিয়ে রাখতে হবে। এতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও জীবাণুগুলি বেরিয়ে যাবে। এরপর কড়াইয়ে গরম তেল দিয়ে একটু তাতিয়ে নিন। তারপর কাঁচা লঙ্কা এবং পাঁচফোড়ন তেলে ছাড়ুন। আস্তে আস্তে আলুগুলি দিন। কষাতে থাকুন। হালকা লাল হয়ে এলে আদাবাটা, মররশুটি দিয়ে একটু নেড়ে টমেটোকুচি দিয়ে হালকা আঁচ বাড়ান। এবার স্বাদমতো নুন, চিনি, হলুদগুড়ো দিন। হলুদের গন্ধ কমে গেলে হালকা আঁচে সজনে ফুলগুলি ভালো করে জল ছেঁকে কড়াইয়ে ছেড়ে দিন। সমস্ত সবজি কষা হয়ে গেলে, হালকা জবের ছিটে দিন। এবার একটু ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা তুলে সরষে বাটাটা ছেড়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। জমিয়ে খান এবার গরমে ভাতের সঙ্গে। তবে অনেকেই আবার বড়া করে খেতে ভালো বাসেন। সেক্ষেত্রে আরও সহজ। ফ্লাওয়ার, ব্যাসন পরমাণ মতো নিয়ে একটু হালকা কালো জিরে ফেলে পেয়াজ কুচি লঙ্কা কুচি দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। তেলে ভেজে ডালের সঙ্গে খান। সবেতেই উপকার।