সংক্ষিপ্ত

  • নাটকীয় ফাইনালে চেলসিকে হারালো আর্সেনাল
  • আউবামইয়ংয়ের জোড়া গোলে এফ.এ কাপ জয় আর্সেনালের
  • এই নিয়ে মোট ১৪ বার এফ.এ কাপ জিতলো আর্সেনাল
  • পরের মরশুমে ইউরোপা লিগের জন্যও যোগ্যতা অর্জন করলো তারা

নাটকীয় ম্যাচ, রুদ্ধশ্বাস কিছু মুহুর্ত, দুই ম্যানেজারের ক্ষুরধার মস্তিস্ক, কিছু বিতর্কিত রেফারিং সিদ্ধান্ত এবং সবশেষে যোগ্য দলের জয়। এই ছিল ২০১৯-২০ মরশুমের এফ.এ কাপ ফাইনালের সামগ্রিক চিত্র। দুই দলের ম্যানেজারের কাছেই সুযোগ ছিল তাদের প্রথম বছরে নিজের ক্লাবকে ট্রফি এনে দেওয়ার। দিনের শেষে সেই যুদ্ধে ল্যাম্পার্ড কে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন মিখায়েল আর্তাতে। গানার্স-দের হয়ে অধিনায়ক এবং কোচ দুই হিসাবেই ট্রফি জিতলেন তিনি। 

 

 

আরও পড়ুনঃইদ উপলক্ষ্যে স্ত্রীকে শাকিবের উপহার, ভালবাসা দেখে মুগ্ধ নেট দুনিয়া

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে দুই পক্ষই। তারই মধ্যে জিরুর ব্যাকহিল ধরে আর্সেনাল ডিফেন্স কে বোকা বানিয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি করে যান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। ম্যাচের বয়স তখন সবে ৫ মিনিট। এর পর খেলার দখল নেয় আর্সেনাল। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক ভাবে ঢুকে আসা আউবামইয়ংকে ফাউল করেন অধিনায়ক অ্যাজপেলইকুয়েতা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি আউবামইয়ং। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে আবার গোল করেন গ্যাবনের স্ট্রাইকার। ডিফেন্ডার-দের বোকা বানিয়ে গোলকিপার উইলি ক‍্যাবিয়েরোর মাথার ওপর দিয়ে হালকা চিপে বল জালে জড়ান আর্সেনালের ব্ল্যাক পান্থার। এরপর ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ দেখে মাঠ ছাড়েন চেলসি মিডফিল্ডার মাতিও কোভাসিচ। যদিও দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রশ্ন উঠেছিল আর্সেনাল গোলরক্ষক মার্টিনেজের বক্সের বাইরে এসে বল তালুবন্দি করা নিয়েও। কিন্তু রিপ্লে তে দেখা যায় নিজে বাইরে থাকলেও বলটি বক্সের ভেতরেই তালুবন্দি করেছিলেন গানার্স গোলকিপার। ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন তিনিও।

 

 

আরও পড়ুনঃভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে নিয়ে 'সর্বকালের সেরা' স্পোর্টস কমার্সিয়াল, ভাইরাল নেট দুনিয়ায় 

আরও পড়ুনঃএকের পর এক বিশাল ছক্কা হাঁকাচ্ছেন শিখর ধওয়ান, আইপিএলের প্রস্তুতিতে গব্বর

লাল কার্ডের সাথে সাথে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোট পাওয়ার ঘটনাও ভুগিয়েছে চেলসিকে। ৩৫ এবং ৪৯ মিনিটে চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সেসার অ্যাজপেলইকুয়েতা এবং ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। পরে ম্যাচের একদম শেষ দিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন অভিজ্ঞ ফুটবলার পেদ্রো। এই চোট চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় পর্বের খেলাতেও ভোগাবে যেখানে তারা বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে এগ্রিগেট স্কোরে ৩-০ ফলে পিছিয়ে রয়েছেন। উল্টোদিকে এই জয়ের ফলে পরের মরশুমে ইউরোপা লিগ খেলা নিশ্চিত করলো আর্সেনাল। ম্যাচ শেষে সেমিতে ম্যান সিটি-র পর ফাইনালে চেলসির বিরুদ্ধেও জোড়া গোল করা আউবামইয়ংয়ের ক্লাব ছাড়া নিয়ে জল্পনাও উড়িয়ে দিলেন আর্তাতে।