সংক্ষিপ্ত
- বুন্দেশলিগায় পরপর দুদিন ভাঙল সামাজিক দূরত্বের নিয়ম
- উল্লাসের সময় নিয়ম ভাঙলেন বায়ার্ন মিউনিখ ও হেরথার প্লেয়ার
- সেই দৃশ্য সামনে আসার পরই আতঙ্ক বাড়ছে ফুটবল বিশ্বে
- প্রয়োজনে আরও কড়া নিয়ম আনার কথা ভাবছে বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষ
করোনা আবহেই ১৬ মে থেকে জার্মানিতে শুরু হয়েছে বুন্দেশলিগা। বিশ্ব জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রবের মধ্যেও ফুটবলের ছন্দে জীবনের কিছুটা জীবনের আনন্দ ফিরে পেয়েছে জার্মানি তথা বিশ্ববাসী। যদিও একাধিক নিয়ম, শৃঙ্খলা, বিধি জারি করেই শুরু হয়েছিল ফুটবল। বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষ ও জার্মানির প্রশাসন মোট ৫২ পাতার একটি নির্দেশিকাও জারি করেছিল। যার মধ্যে ম্যাচের আগে ও পরে হ্যান্ডশেক করার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়। ম্যাচের আগে গ্রুপ ছবি তোলাও বন্ধ নিষিদ্ধ করা হয়। প্লেয়ারদের অকারণে জটলো হওয়ার ক্ষেত্রেও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। ম্যাচ চলাকালীন অহেতুক ফুটবলারদের শারীরিক সংঘর্ষে জড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকাী গোলের পর সেলিব্রেশন করাতেও রয়েছে বিধি নিষেধ। গোলের সেলিব্রেশন করা যাবে, শুধু পায়ে পায়ে ঠেকিয়ে। অথবা কনুই দিয়ে। কিন্তু প্রথম দুদিনের ধরা পড়ল এমন কিছু ছবি যা নতুন করে তৈরি করেছে আতঙ্ক। গোলের পর সতীর্থকে জড়িয়ে ধরা থেকে চুম্বন চলছে সবকিছুই। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ফুটবল বিশ্বে।
আরও পড়ুনঃমধ্যরাতে বুন্দেশলিগায় মুখোমুখি লেভারকুসেন ও ওয়ার্ডার ব্রেমন
বিতর্কের সূত্রপাত শনিবার হফেনহিয়েম বনাম হেরথা ম্যাচ ঘিরে। গোলের পর হেরথা ডিফেন্ডার ডেড্রিক বোয়াতা সতীর্থ মার্কো গ্রুজিচের গালে চুম্বন করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিতর্ক। গাইডলাইন ভেঙে সেলিব্রেশনের দায়ে বোয়াতার শাস্তি ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও পরে জানা যায় সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভাঙা হলেও এযাত্রায় কোনও শাস্তি হচ্ছে না হেরথার ওই ডিফেন্ডারের। জার্মান ফুটবল লিগ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয় বিষয়টি। জার্মান ফুটবল লিগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সেলিব্রেশনের বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিজেদের রুলবুকে অন্তর্ভুক্ত করেছে জার্মান ফুটবল লিগ। এটা নিয়ে ফুটবলারদের কাছে কোনও মেডিক্যাল সংস্থার নিষেধাজ্ঞা নেই।’ এছাড়া নিয়মের সঙ্গে ধাতস্থ হতেও সময় লাগবে বলে জানানো হয়। আর যাঁকে নিয়ে এতো বিতর্ক সেই ডেড্রিক বোয়াতা বলছেন, ‘ছ’বার করোনা পরীক্ষা হয়েছে আমাদের। প্রত্যেকবারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। গতকালই একবার হয়েছে। তাছাড়া আবেগ খেলার অঙ্গ। আবেগ বিসর্জন দিয়ে ফুটবল খেলতে নামার কোনও অর্থ হয় না।
আরও পড়ুনঃজয় দিয়েই প্রত্যাবর্তন বায়ার্ন মিউনিখের, লিগে ১ নম্বরেই রইলো বাভারিয়ান নেকড়েরা
আরও পড়ুনঃলকডাউনের মধ্যেই কি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএল
অন্যদিকে রবিবার বুন্দেশলিগার শীর্ষ স্থানাধিকারী দলের থেকে এমন ঘটনা আশা করেনি ফুটবল বিশ্ব। ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে ম্যাচ জেতে বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচের ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন রবার্ট লেওনস্কি। ৮০ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। গোল করার পরই সতীর্থ ডেভিড আলাবাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও প্রথম দিন লিগের অন্য বড় দল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪ গোলে জিতলেও, উল্লাস প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম ভাঙেনি। কিন্তু প্রথম দুদিনে বায়ার্ন ও হেরথা প্লেয়াররা নিয়ম ভাঙার যে খেলা শুরু করল, তা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। লাগাতর এমন ঘটনা বাড়লে নিয়মের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করার কথাও ভাবছে বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষ।