সংক্ষিপ্ত
- করোনার কারণে মরসুম কবে শুরু হবে তা অজানা সকলের
- তবে দল বদলে ফের চমক কলকাতা জায়েন্ট ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের
- সি কে ভিনিথ ও রিনো অ্যান্টোকে পাকা করে ফেলল লাল-হলুদ
- লকডাউনের বাজারে একের পর এক তারকা ফুটবলার সই করাচ্ছে ইষ্টবেঙ্গল
ক্লাবের শত বর্ষ উদযাপন হলেও গত মরসুমটা একেবারেই ভাল যায়নি ইষ্টবেঙ্গলের। কলকাতা লিগ. আই লিগ হাতছাড়া হয়েছে সবকিছুই। ট্রফিহীন থাকতে গয়েছে গোটা মরসুম। তাই পরের মরসুমে শক্তিশালী দল গড়তে বদ্ধ পরিকর লাল-হলুদ কর্তারা। তাই লকডাউনের বাজারেও দল গোছাতে তৎপর ইষ্টবেঙ্গল। লকডাউন সম্পূর্ণভাবে কবে উঠবে তা কেউ জানে না। বন্ধ হয়ে রয়েছে সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট। কবে থেকে ময়দানে ফের বল গড়াবে তাও অজানা সকলের। কিন্তু পিছিয়ে থাকতে নারাজ ইষ্টবেঙ্গল। যেদিনই খেলা শুরু হোক না কেন, নিজেদের সেরা প্রমাণের জন্য মরিয়া ইষ্টবেঙ্গল। তাই কেবল দল গোছানোর কাজেও কোনও ঢিলেমি নেই। এমনকী, নতুন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রেও। ইস্টবেঙ্গল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু রাজ্যের সেরা ফুটবলার কেন, ভিন রাজ্যের ফুটবলারকে নিতেও পৌঁছে গিয়েছে চুক্তিপত্র। ইস্টবেঙ্গলের এবারের চমক যে কেরালার ভিনিথ ও রিনো।
আরও পড়ুনঃলালা এবং ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধে হতাশ কামিন্স
কেরালার দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার সি কে ভিনিথ ও রিনো অ্যান্টো। কয়েকদিন ধরেই আক্রমনভাগকে শক্তিশালী করার জন্য ভিনিথ এর দিকে ঝাঁপিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, ভিনিথ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁকে নিতে হলে বন্ধু রিনোকেও সই করাতে হবে। রিনো মূলত রাইটব্যাকের ফুটবলার। আর ভিনিথ আক্রমন ভাগের। দু’জনেই যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাই কাল বিলম্ব না করে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ভিনিথ ও রিনো দুজনকেই সই করাবে, এমনটাই চূড়ান্ত করেন। ইস্টবেঙ্গল সূত্রে জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই চুক্তিপত্রও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নাকি পৌঁছে গিয়েছে কেরালাতে। ভিনিথ ও রিনোর কাছে। এবার মরসুমজুড়েই হয়তো নতুন পরিকল্পনা রয়েছে এই ক্লাবের। এখন দেখার তবে ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেড শক্তিশালী হয়ে বাকিদের কিভাবে বিপাকে ফেলে।
আরও পড়ুনঃভারতীয় ক্রীড়াবিদদের মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ ক্রীড়া মন্ত্রকের
করোনা মরসুমেও একের পর এক চমক দিয়ে চলেছে লাল হলুদ। ইতিমধ্যেই আগামী মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গল পাকা করে ফেলেছে শেহেনাজ সিং, বলবন্ত সিং, নবীন গুরুঙ, গুরতেজ সিং, চুলোভা, শঙ্কর রায়ের মতো একঝাঁক ভারতীয় ফুটবলারদের। পুরো লকডাউন জুড়ে তারা একের পর এক চমক দিয়েই চলেছে। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরের সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ও ক্লাবের সম্মান বাড়াতে, একইসঙ্গে ট্রফি জিততে যে বদ্ধপরকির তা দল গঠন থেকেই প্রমাণিত।