সংক্ষিপ্ত
অবশেষে মরসুমের প্রথম জয় পেলে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2022) গ্রুপ পর্বের ম্য়াচে মুম্বই সিটি এফসিকে (Mumbai City Fc) ৪-৩ গোলে হারাল স্টিফেন কনস্টেনটাইনের দল।
ডুরান্ড কাপে অবশেষে জয়ে ফিরল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে মরসুমের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল স্টিফেন কনস্টেনটাইনের দল। প্রতিযোগিতার প্রথম তিন ম্যাচে যে দল একটিও গোল করতে পারেনি সেই দল ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্য়াচে ৪টি গোল করল। যদিও ৩টি গোল হজমও করতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। তবে ৪-৩ গোলে মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে মরসুমেপ প্রথম জয় পাওয়ায় খুশি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার, কোচ থেকে সমর্থকরা। এই ম্য়াতে লাল-হলুদের হয়ে দুটি করে গোল করেন ক্লেইটন সিলভা ও সুমিত পাসি। মুম্বইয়ের হয়ে দুটি গোল করেন ছাঙ্গতে ও একটি গোল করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়াতেই পারত ইমামি ইস্টবেঙ্গলের।
এদিন ম্য়াচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে দুই দল। গোলের জন্য ঝাপায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মুম্বই সিটি এফসি। ইস্টবেঙ্গলের অ্য়াটাকিং লাইনকে অন্য দুই ম্য়াচের তুলনায় অনেক বেশি সচল দেখায়। যে সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে ডার্বি হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে সেই সুমিত পাসিই মরসুমের প্রথম গোলটা করল দলের জন্য। ম্য়াচের ১৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আলেক্স লিমার ওড়ানো রাসে হেড দিয়ে গোল করে যান সুমিত পাস। গোল করার পর লাল-হলুদ গ্যালারির দিকে হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে নেন সুমিত। ডার্বির আত্মঘাতী গোলের জন্যই এই ক্ষমা বলে মনে হয় সকলের। ম্য়াচের দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশ অপেক্ষা করতে হয়নি লাল-হলুদ সমর্থকদের। ফ্রি কিক থেকে অনবদ্য গোল করে দলের ব্যবধান বাড়ান ক্লেইটন সিলভা। ২ গোল হজম করার পর দ্রুত ম্যাচে ফেরে মুম্বই সিটি এফসি। ম্য়াচের ২৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে বাণিজ্য নগরীর দল। বিপিন সিংয়ের ভাসানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে দুরন্ত শট করে গোল করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ৩৪ মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সুমিত পাসি। এরপর ম্য়াচে দুরন্তভাবে কামব্যাক করে মুম্বই সিটি এফসি। ম্য়াচের ৩৬ ও ৪৩ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে মুম্বই সিটি এফসিকে সমতায় ফেরান ছাংতে। ম্য়াচের প্রথমার্দেই ৬টি গোল দেখতে পায় দর্শকরা। ৩-৩ বব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূয়ক গোলের জন্য ঝাপায় দুই দল। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুললেও কেউই প্রথমার্ধের মত সহজে গোলের মুখ খুলতে পারছিলনা। প্রথমার্ধে যতটা ছন্নছাড়া লাগে লাল-হলুদ ডিফেন্সকে দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা গুছিয়ে নেয় নিজেদের। আলেয়ান্দ্রো, লিমারা একাধিক সুযোগ নষ্ট করে। তা না হলে আরও গোল বাড়তে পারত স্টিফেন কনস্টেনটাইনের দলের। ম্য়াচের ৮১ মিনিটে জয়সূচক গোল করে ইস্টবেঙ্গল। বাঁ দিক থেকে বল বাড়িয়েছিলেন অমরজিৎ সিংহ কিয়াম। সেই পাস থেকে চলতি বলেই গোল করেন ক্লেইটন সিলভা। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে ম্যাচ জেতে ইমামি ইস্টবেঙ্গল।