সংক্ষিপ্ত

  • ৩৮ বছরের খরা কাটিয়ে ফুটবল মাঠে ইরানের মহিলারা
  • কম্বোডিয়াকে ১৪ গোল দিয়ে দিনটি ঐতিহাসিক করে রাখল ইরান দল
  • ঐতিহাসিক ম্যাচে রেফারির ভূমিকায় বাংলার প্রঞ্জল
  • গ্যালারিতে হল বিক্ষপ্ত অশান্তিও

বৃহস্পতিবারের আজাদি স্টেডিয়াম দেখল ফুটবল মাঠে মহিলাদের স্বাধীনতা। ১৯৮১ সাল থেকে ইরানের মহিলারা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারেতন না। সেই কলঙ্কের ইতিহাস এবার মাটিতে মিশে গেল। ৩৮ বছর পর স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখলেন ইরানের মহিলারা। খেলা ছিল বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্নায়ক পর্বের। কম্বোডিয়াকে ঘরের মাঠে ১৪-০ গোলে হারিয়ে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন ইরানের ফুটবলাররা। বলা যায় মহিলাদের পা মাঠে পরতেই লক্ষ্মী লাভ ইরান ফুটবলে। আর এমন ম্যাচে রেফারির ভূমিকায় ছিলেন এক বঙ্গ সন্তান। প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে ছিল ম্যাচে বাঁশি। 

আরও পড়ুন - আইসিসি ইভেন্টে প্রথম মহিলা ম্যাচ রেফারি, নজির গড়লেন ভারতের জিএস লক্ষ্মী

 

আরও পড়ুন - পাকিস্তানে এসে ক্রিকেট খেলুন, বিরাটকে কাতর আর্জি পাকিস্তানি যুবকের


গোটা ম্যাচ জুড়ে দলের হয়ে গলা ফাটালেন মাঠে উপস্থিত চার থেকে সাড়ে চার হাজার মহিলা ফুটবল সমর্থক। ফিফার মতে এই ছবি আগামী দিনের জন্য ভালও একটি বার্তা।  ৩৮ বছর পর ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত থাকতে পেরে উচ্ছ্বসিত ইরানের মহিলারা। তারা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ফিফাকে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা চাপ না দিলে এই দিন তারা দেখতে পেতন না বলেই মত মাঠে উপস্থিত মহিরা দর্শকদের। 


মহিলা সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্য আজাদি স্টেডিমায়ে ১৫০ জন মহিলা পুলিশ কর্মী রাখা হয়েছিল। তবে সব যে শান্তিতে মিটেছে এটা বলা যাবে না। কারণ একটা সময় মহিলাদের গ্যালারি বেশ উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। কারণ মাঠে উপস্থিত মহিলারা ব্লু গার্লের নামে জয়ধ্বনী তুলছিলেন। সেটা যে একেবারই না পসন্দ ছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। তাই কিছুটা বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়ে মাঠে। সেই ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে।


মাস খানের আগে ফুটবল মাঠে ঢুকতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন ইরানের এক তরুণী। তার পরই ফিফা ইরানের ওপর চাপ তৈরি করে মাঠে মহিলা ফুটবল সমর্থকদের মাঠে মহিলা সমর্থকদের ঢুকতে দিতে হবে। অনেকের মতেই সেই তরুণীর বলিদানের ফলেই আজ তারা মাঠে বসে খেলা দেখলেন। তাই ব্লু গার্লের নামে জয়ধ্বনী উঠেছিল আজাদি স্টেডিয়ামে। 

আরও পড়ুন - জুতো কেনার টাকা ছিল না একটা সময়, এখন সেই ছেলেই দেশের কাছে অনুপ্রেরণা, জসপ্রীত বুমরার না বলা কথা