সংক্ষিপ্ত
- অবশেষে শেষ হল রোমাঞ্চকর ইপিএল মরশুম
- চ্যাম্পিয়ন লিগের যোগ্যতা অর্জন করল ম্যান ইউ এবং চেলসি
- নিজেদের ম্যাচে জিতেই এই কৃতিত্ব অর্জন তাদের
- ইউরোপা লিগে খেলবে টট্যেনহ্যাম হটস্পার ও লেস্টার সিটি
প্রথম থেকেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে নিজেদের-কে ধরে রেখেছিল চেলসি। শেষদিকে এসে একটু আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হলেও তা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট নিশ্চিত করে ফেললো ল্যাম্পার্ডের দল। ২০ বারের ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একসময় ছিল ভীষণ অনিশ্চয়তার মধ্যে। কিন্তু নতুন বছরে তাদের অসাধারণ ফর্ম তাদেরকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল।চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট পেতে শেষ ম্যাচে তাদের দরকার ছিল এক পয়েন্টের। শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ লেস্টারের সঙ্গেই তাদের লড়াইটা ছিল সরাসরি। রবিবার ম্যান ইউ এক নয়, পুরো তিন পয়েন্ট পেয়েই তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করে পেয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট।
আরও পড়ুনঃবিস্ফোরক যুবরাজ সিং,কেরিয়ারের শেষে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি বিসিসিআই
গত জানুয়ারিতে যখন স্পোর্টিং লিসবন থেকে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেসকে সই করায় ম্যানচেস্টোর ইউনাইটেড, প্রিমিয়ার লিগে তাদের অবস্থান পঞ্চম, তৃতীয় স্থানে থাকা লেস্টার সিটির চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে। তারপর থেকে ব্রুনোর অসাধারণ পারফরম্যান্স দলের বাকিদের ওপরও প্রভাব ফেলেছিল। লিগের শেষদিনে এসে ইউনাইটেডের এমন অপ্রত্যাশিত ফলটা সেই মুহূর্তে কেউ ভাবতেই পারেনি। তারা চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট আদায় করেই ছাড়লো এবং দীর্ঘ সময় প্রথম চারে থাকা লেস্টার শেষ করলো পাঁচে। ৭১ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পেনাল্টি গোল জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হচ্ছিল। বক্সের মধ্যে অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে লেস্টরের দুজন ডিফেন্ডার জঘন্যভাবে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় রেড ডেভিলসরা। ঠান্ডা মাথায় গোল করে যান ব্রুনো। অতিরিক্ত সময়ে, শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে ইউনাইটেডের জেসে লিনগার্ড করেন ২-০।
আরও পড়ুনঃহরভজনের বাড়িতে এক মাসে ইলেকট্রিক বিল ৩৩৯০০ টাকা,বিল দেখে মাথায় হাত ভাজ্জির
আরও পড়ুনঃ৫ ব্যাটসম্যানের নাম জানালেন কুম্বলে, যাদের বল করতে হয়নি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি
উল্টোদিকে চেলসির লড়াই ছিল ভালো ফর্মে থাকা উলভস-দের সাথে। প্রথমার্ধে দুই দলই বেশি ঝুঁকি নেয়নি। প্রথমার্ধর শেষ দিকে বিতর্কিত ফ্রি-কিক পায় চেলসি। সেই ফ্রি-কিক থেকে গোল করে যান তরুণ তারকা মেসন মাউন্ট। এটিই ছিল চেলসির প্রথম লক্ষ্যে থাকা শট। এরপর দু মিনিটের মধ্যে অসাধারণ গোল করে ব্যবধান বাড়ান অলিভার জিরু। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল হয়নি। এই হারের ফলে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল উলভস। তাদের সঙ্গে সমান পয়েন্ট থাকলেও গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় ইউরোপা লিগে জায়গা নিশ্চিত করলো টট্যেনহ্যাম হটস্পার। মরশুমের শুরুতে জঘন্য অবস্থায় থাকলেও মাঝপথে জোসে মৌরিনহো দায়িত্বে আসার পর লিগের তলানি থেকে উঠে এসে ইউরোপা লিগের টিকিট অর্জন করতে পেরে খুশি স্পার্স।