সংক্ষিপ্ত

  • বকেয়া বেতন চেয়ে মোহনবাগান ক্লাবকে চিঠি দিল প্লেয়াররা
  • বিদেশি প্লেয়ারদের ২ মাস ও দেশি প্লেয়ারদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন 
  • অবিলম্বে বেতন না দিলে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানানোর হুমকি
  • লকডাউন উঠলেই ইনসেনটিভ সহ মিটিয়ে দেওয়া হবে বেতন, জানাল বাগান
     

চার ম্যাচ বাকি থাকতেই পয়েন্টের বিচারে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু তারপর লকডাউনের জেরে স্থগিত হয়ে যায় যা টুর্রনামেন্ট। পরবর্তীতে ফেডারেশন আইলিগের সমস্ত ম্যাচ বাতিল করে ও সরকারিভাবে ২০১৯-২- মরসুমের আইলিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় সবুজ-মেরুণ শিবিরকে। গোটা মরসুম জুড়ে প্লেয়ারদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দুরন্ত পারফরমেন্সের সৌজন্যেই ভারত সেরার শিরোপা ওঠে মোহনবাগানের মাথায়। কিন্তু আই লিগ এনে গর্বিত করল যে সকল ফুটবলারেরা, তাদেরই বেতন আটকে বেজায় বিপাকে মোহনবাগান। তিন মাসের বেতন বাকি দেশীয় ফুটবলারদের। বিদেশি ফুটবলারদের বকেয়া দু’মাসের বেতন। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান না হলে ক্লাবের বিরুদ্ধে ফেডারেশনে যাওয়ার হুমকি দিলেন আই লিগ জয়ী ফুটবলাররা।

আরও পড়ুনঃআধুনিক নিয়মে আরও ৪ হাজার রান বেশি করতাম,সচিনকে বললেন সৌরভ

সবুজ-মেরুনকে দেওয়া চিঠিতে ফুটবলাররা জানান, তাঁদের তিন মাসের বেতন বাকি। যেখানে বিদেশিরা পাবেন শেষ দু’মাসের বেতন। বিদেশি তারকাদের ক্লাবকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন যে আগামী ৩১ মে’র মধ্যেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বাকিরা কোনও প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে চিঠি পাঠান। ১৫ মে’র মধ্যে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন ফুটবলাররা। ইনসেনটিভের কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে বকেয়া মেটানোর একটি সময়সীমাও বেঁধে দিতে হবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এমনকী এও বলা হয়, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন।

আরও পড়ুনঃমাত্র চার বলেই স্মিথকে আউট করে দিতেন, মন্তব্য শোয়েব আখতারের

আরও পড়ুনঃসন্দেশ ঝিঙ্গান ও বালা দেবীকে অর্জুন পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করল এআইএফএফ

ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে করোনার জেরে লকডাউনে গোটা দেশ। তাই ফুটবলারদের পারিশ্রমিক দেওয়ার ব্যাপারে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বিধিনিষেধ উঠলেই বকেয়া হাতে পেয়ে যাবেন ফুটবলাদের। ফুটবলারদের চিঠির জবাবে মোহনবাগানের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে লোন নিয়েও ফুটবলারদের বেতন মেটানো হয়েছে। তাঁরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, এবারও সেই খেয়াল রাখা হবে। প্রত্যেকেই বেতন পাবেন। বাগানের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়, সেখানে বলা হয়েছে, মুম্বইয়ে লকডাউন ওঠার অপেক্ষায় রয়েছেন সবুজ-মেরুন ক্লাব। কারণ করোনা মহামারির জেরে সেখানকার কাজকর্ম কার্যত অচল। তাই বেতন মেটাতে সমস্যা হচ্ছে। লকডাউন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। ঘোষিত ইনসেনটিভও পেয়ে যাবেন ফুটবলাররা। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি জানা সত্ত্বেও কেনও ব্যবস্থা করেননি মোহনবাগান। বেইতিয়া, ফ্রান, মোরান্তেদের কাছেই বা কী বার্তা গেল কলকাতা তথা ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে।